অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বানানোর পাঁয়তারা!
সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে স্কুল কমিটির নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হওয়া, অন্যায় প্রস্তাবকে সমর্থন না করা ও কারচুপির বিরোধিতা করার সূত্র ধরে দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি জাফর ইকবাল মিঠুনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভূয়া আইডি দিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নতুন বাগোয়ান গ্রামের মৃত ইমান আলী মন্ডলের ছেলে জাফর ইকবাল মিঠুন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকায় এলাকার মানুষের কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়।
এলাকাবাসীর অনুরোধে তিনি কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করেন। এই নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এই বিদ্যাপীঠের সকল অনিয়ম দূর করার জন্য কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। আর এই অবস্থান গ্রহণই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। মিঠুনের অভিযোগ কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হতে দিবেন মর্মে ঘোষনা দেওয়ার পর সুবিধা আদায়ে নকাশাকারী পক্ষের আতে ঘা লাগে।
এই পক্ষ আমাকে ম্যানেজ করারও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুকে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করছে। মিঠুন বলেন, আমি কি করি, আমার পেশা কি, আমার জীবন যাপন কেমন তা আমার এলাকার লোকজন জানে। আমি ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি যতদিন এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে আছি এখানে কোন অনিয়ম হতে দিবো না। তিনি জানান, সামনে এই বিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষক নিয়োগ হতে যাচ্ছে। এই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আমাকে বাগে আনতে আগেভাগে চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে আমি তাদের কাছে নতিস্বীকার করি।
দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি আরো বলেন, আমার বাড়িতে সাংবাদিক পাঠানো হচ্ছে। তারা আমাকে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী আক্ষা দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার হুমকী দিচ্ছে। এই কলকাটি কে কোথা থেকে নাড়াচাড়া করছে আমি সব জানি। যে কলকাটি নাড়াচাড়া করছে সে কি করেছে, বর্তমানে কি করছে তার সবকিছূই আমার জানা। এলাকার লোকজন কথিত ঐ ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে মানববন্ধনের জন্য আমাকে বার বার বলছেন।
কিন্তু ধৈর্য্যধারন করে আমি এর শেষ দেখতে চাই। ঐ ষড়যন্ত্রকারীর নাম উল্লেখ না করে মিঠুন বলেন, আমি শীগ্রই একটি সংবাদ সম্মেলন করে পূরো বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরবো। পাশাপাশি ফেসবুকে মিথ্যাচারসহ আমাকে হয়রানী করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি।
এদিকে স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে “বাংলাদেশ প্রতিদিনি” ও “টপ নিউজ” নামে দুটি আইডি দিয়ে জাফর ইকবাল মিঠুনের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দ ব্যবহার করে দুটি পোষ্ট দেওয়ার সত্যতা মিলেছে।
এছাড়াও জাফর ইকবাল মিঠুনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে উষ্কানীমূলক লেখালেখির কারনে এলাকার সাধারণ মানুষ তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
Posted ৩:২৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor