আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ-২০২১ নির্বাচনের তফসিল ও তারিখ ঘোষণার আগেই সারা দেশের ন্যায় দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা নানা কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে । দোয়া এবং সমর্থন চেয়ে লাগানো রঙিন পোস্টারে ছেয়ে গেছে পাড়া-মহল্লার চা স্টল।

ফিলিপনগর ইউনিয়নে এখনো পর্যন্ত প্রচারণার মাঠে কেবলই সরকার দলীয় সমর্থকরা। তাই সম্ভাব্য প্রার্থীদের টার্গেট প্রচারে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়া এবং নৌকা প্রতিক নিশ্চিত করা।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৩ নং ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী ইতিমধ্যে তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও নৌকার হাল ধরতে মাঠে ময়দানে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন‌ সকলে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সময় নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে অংশ নেই মোঃ আজিজুল রহমান আক্কাস ও জহুরল মিয়া সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি এবং এক সময় আজিজুর রহমান আক্কাস খুব কাছের লোক ছিল এবং পরবর্তী সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৭৩ সালে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি এবং একাধিকবার তিনি ফিলিপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ৩ নং ফিলিপনগর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্টের পর থেকে নৌকায় ধরে আছি।

তিনি আসন্ন ৩নং ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি।

তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা: ১৯৬৯ সালে ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,১৯৭১ সালে ভেড়ামারা কলেজ থেকে এইচ এসসি পাশ করেন।এবার ইউনিয়নবাসী’রা বলছেন, মহামারি করোনাভাইরাস কালে সততা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বদা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী। নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ তাঁকে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান। জনগণের এ আবদার রক্ষার্থে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্ততি নিয়েছেন।

তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে দলের জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রিয় অভিভাবক কুষ্টিয়া -১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড, আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি মহোদয়ের হাতেকে শক্তিশালী ও উন্নয়ন মূলক কাজ গুলো আরো গতিশীল করতে আমি জনগণের যে সমস্য গুলো আছে, সেগুলো সমাধান করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। ফিলিপনগর ইউনিয়নবাসীর সেবক হতে চাই আমি।

তিনি আরো বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে জনগণের পাশে দাড়াতে চাই এবং তাঁদের সুখ দুঃখ ও বিপদ-আপদে পাশে থাকতে চাই। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ সালে হলে আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগের সমর্থন কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজ্বী মোঃ হায়দার আলী বলেন আমি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন বাসীর জন্য সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ড করে চলেছি। এবার নৌকার হাল ধরতে চাই আমি।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কাছে ও বেশ সাড়া পাচ্ছেন দাবী করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী বলেন আমি একটিবার সুযোগ পেলে ৩ নং ফিলিপনগর ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত করে তরুণ ও বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো ইনশাল্লাহ। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হায়দার আলী সবার কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন।

আশা করি আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী আমাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে অংশীদার হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ফিলিপনগর ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করবো ইনশা আল্লাহ।