অনলাইন নিউজ ডেস্ক
তিনি এক ও অদ্বিতীয়। আপামর বাঙালির কাছে মহানায়ক। রুপালি পর্দার চিরসবুজ তারকা। তিনি উত্তম কুমার। বাংলা ছবির দর্শকের কাছে তিনি আজও অমর। আজ তার ৯৫তম জন্মদিন।
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই আপামর বাঙালিকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান উত্তম কুমার। মহানায়কের জীবনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা ফিরে দেখা যাক।
১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ৫১ নম্বর আহিরীটোলায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা ছায়াছবির নক্ষত্র উত্তম কুমার।

উত্তম কুমারের সংসারে ছিল অভাব-অনটন। তাই পড়াশোনা শেষ না করেই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্ক হিসেবে চাকরি নিতে হয়েছিল তাকে। তখন আহিরীটোলায় নাট্যদল সুহৃদ সমাজে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন তিনি।

মঞ্চনাটকের কাজ করার সময় চলচ্চিত্রের ডাক এলো। কিন্তু বড় পর্দায় ‘ফ্লপ মাস্টার’ তকমা জুটলো। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একের পর এক ছবি ফ্লপ হয় তার। ১৯৫৩ সালে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ মুক্তির পর ঘুরে দাঁড়ান।

উত্তম কুমারকে ভেবেই ‘নায়ক’ তৈরির কথা ভেবেছিলেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১১০তম ছবি। তাদের এই যুগলবন্দি হয়ে আছে কালজয়ী।

হলিউড অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলরের মন জয় করেছিল ‘নায়ক’। উত্তম কুমারের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখা করার ইচ্ছে হয়েছিল তার।

১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থা চোকালে মহালয়ার ভোরে ‘দেবী দুর্গতিহারিণীম’ নামে রেডিওতে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন উত্তম কুমার। তবে শ্রোতারা তাকে গ্রহণ করেনি। তিনিও সরে দাঁড়ান।
‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’য় অনবদ্য অভিনয় নৈপুণ্যের স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন উত্তম কুমার।

অভিনয় ছাড়াও প্রযোজক, পরিচালক, সংগীত পরিচালক, গায়ক হিসেবে কাজ করেছেন উত্তম কুমার। শুধু তাই নয়, দুটি ছোট গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি।

স্ত্রী গৌরীদেবীর মুখের আদলে বাড়ির লক্ষ্মীপ্রতিমার মুখ তৈরি করিয়েছিলেন উত্তম কুমার।

অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পেশাগত রেষারেষি ছিল না উত্তম কুমারের। বরং এই দুই নক্ষত্র একে অন্যের গুণমুগ্ধ ছিলেন। প্রতিশোধ, দর্পচূর্ণ, পক্ষীরাজ, দেবদাস, যদি জানতেম, নকল সোনা, স্ত্রী, অপরিচিত, ঝিন্দের বন্দি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা।
Posted ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)