মোঃ গোলাম কিবরিয়া (জিবন)
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি। করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এ বছর বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের তীর্থ স্থান কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে হবে না কোনো অনুষ্ঠান। বসবে না সাধুদের মিলনমেলা।
সেইসঙ্গে গ্রামীণ মেলাও। প্রতিবছর তিরোধান দিবসে তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন থাকলেও এবার সব আয়োজন বন্ধ ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া লালন একাডেমি।
আগামী পহেলা কার্তিক (১৭ অক্টোবর) বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩০তম তিরোধান দিবস।
রোববার (০৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুৎফুন নাহার ও লালন একাডেমির সদস্য সচিব ও এনডিসি তাইফুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭১ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত অবস্থায় আছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে যদি বড় ধরনের গণজমায়েত করা হয়, তাহলে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় লালনের মাজার প্রাঙ্গণে প্রতিবছরের মতো এ বছর বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩০তম তিরোধান দিবস পালন করা সম্ভব নয়।
পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, লালনের প্রতি গভীর ভালবাসা থাকার পরও আমার তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছি না।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আরো বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করবো।
এজন্য তিনি সব ভক্ত, সাধক ও গুণিজনদের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির তিরোধান দিবস উপলক্ষে তার সাধন-ভজনের তীর্থস্থান ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-গুরু-ভক্তরা আসেন।
কুষ্টিয়া লালন একাডেমির পক্ষ থেকে আগতের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হত। প্রতিবছর দোল পূর্ণিমা এবং পহেলা কার্তিক দুইবার সাধুরা এসে জড় হতেন এই লালন আখড়াবাড়ীতে।
এদিকে লালন তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণাকে নীতিবাচক হিসেবে দেখছেন লালন অনুসারীরা
Posted ৩:৩৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)