শনিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

কভিড-১৯ মহামারী যে সাত উপায়ে সাংবাদিকতা পাল্টে দেবে মিডিয়া ও সাংবাদিকতা বিষয়ক পশ্চিমা একটি থিঙ্কট্যাংক থেকে প্রকাশিত আর্টিকেল

নিজস্ব প্রতিনিধি

কভিড-১৯ মহামারী যে সাত উপায়ে সাংবাদিকতা পাল্টে দেবে মিডিয়া ও সাংবাদিকতা বিষয়ক পশ্চিমা একটি থিঙ্কট্যাংক থেকে প্রকাশিত আর্টিকেল

মোঃ শামসুল কবীর (সজল)


  • বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো নভেল করোনা ভাইরাস ও
    কভিড-১৯ যা মানুষের জীবনধারা আমূল বদলে দিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গোলা-বারুদ, ট্যাঙ্ক, বোমারু বিমান কিন্তু সারা দুনিয়াকে
    এভাবে কখনো স্থবির করতে পারেনি যা করেছে এক অতি ক্ষুদ্র ভাইরাস। বিগত
    ইতিহাসের যুদ্ধ-বিগ্রহে পৃথিবী এমন করে থমকে যায়নি কখনো, যার মধ্য দিয়ে
    এখন আমরা চলেছি। তবু এই স্থবিরতা পেড়িয়ে, নিত্য-নতুন অনেক নিয়ম-নীতি,
    পরিবর্তন-পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলা
    কিন্তু থেমে নেই।
    বড় বড় ঘটনা এবং ব্যাপক সাংস্কৃতিক পরিবর্তনগুলি প্রায়শই শিল্পের
    মধ্যে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনগুলিকে ত্বরান্বিত করে। ২০২০ সালের বৈশ্বিক
    করোনা ভাইরাস কভিড-১৯ মহামারী নতুন নতুন শিল্প সহ বেশ কিছু শিল্পের এমন
    পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে এনেছে। কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্ব
    নিশ্চিতকরণে বিশ্বব্যাপী যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, সেটা ভাইরাস এর চেয়েও
    বেশি করে, এমনকি পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রকট ভাবে, বছরের পর বছর
    ধরে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে হলেও সাংবাদিকতার পরিবর্তন সাধন করে যাবে।
    এমনকি প্রতিবেদকরা যেভাবে নিউজ কাভার করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের
    মুখোমুখি হন এবং যেভাবে সমাধান বের করে আনেন, সেটাই তাদের নিজস্ব শিল্পের
    নতুন গন্তব্যের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে যা অনলাইন পত্রিকা, ডিজিটাল মিডিয়া
    কিংবা স্মার্টফোনের সুচনালগ্নেও এতটা পরিলক্ষিত হয়নি। সেই সময়ের মতোই
    এক্ষেত্রেও হয়তো পরিবর্তনটা অতটা তাৎক্ষণিক হবেনা, কিন্তু বর্তমান
    প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্ত সেই পরিবর্তনের বীজ বপন করবে এবং আমরা হয়তো
    সামনের বছরগুলোতে যেটার ক্রমঃবিকাশের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হব। আর সেটাকে
    সামনে রেখেই এখানে সাতটি উপায় উপস্থাপন করা হচ্ছে যেভাবে কভিড-১৯ বৈশ্বিক
    মহামারী বা অতিমারী আগামী দিনে সাংবাদিকতার ভোল পাল্টে দেবে।
    সম্প্রচারকারীরা স্কাইপে ও জুম্ সাক্ষাৎকারের উপর বেশি নির্ভরশীল হবে
    অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বেশ কয়েক বছর ধরেই
    দূরবর্তী কোনো সাক্ষাৎকার গ্রহণের ক্ষেত্রে সময় এবং খরচ বাঁচাতে স্কাইপে,
    ফেসটাইম কিংবা জুম্ ভিডিও চ্যাট প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আসছে। সরাসরি
    সাক্ষাৎকারের জন্য স্যাটেলাইট সংযোগ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পন্ন
    করার জন্য কাউকে ষ্টুডিওতে পাঠাতে হলে কখনো কখনো হাজার ডলার বা তারও
    বেশি খরচ হতে পারে এবং এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপারও বটে। যদিও বিগত দিনগুলিতে
    সুবিধা থাকা সত্ত্বেও অনেক বড় বড় সম্প্রচারক ক্রমাগত নিম্নমানের জন্য
    স্কাইপে সাক্ষাৎকার (বিপণন ও সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ ষ্টুডিওর সাথে সরাসরি
    যোগাযোগ স্থাপনে সহজলভ্যতা বিবেচনায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম) গ্রহণ থেকে
    কিছুটা সরে এসেছিলো। কিন্তু এই মাধ্যম গুলো এখন যে শুধু পাদপ্রদীপের আলোয়
    এসেছে তাইই নয়, স্থানীয় প্রতিবেদকগণ স্কাইপে ও জুম ব্যবহার করে
    সাক্ষাৎকার নিচ্ছে এবং কিছু কিছু উপস্থাপক এমনকি বাড়ী বসে এগুলো ব্যবহার
    করে সংবাদ উপস্থাপনা করছে।
    যদিও সুচারুভাবে স্কাইপে সাক্ষাৎকার নিলে সেটা অনেক চমৎকার হতে
    পারে, কিন্তু বেশিরভাগ সাক্ষাৎকারদাতাগণই জানেন না তা কিভাবে করা সম্ভব
    এবং তাঁরা এতে যথেষ্ট সময় দিতেও অনিচ্ছুক। এসব সত্ত্বেও স্থানীয় ও জাতীয়
    পর্যায়ের প্রতিবেদিকগণ বর্তমানে স্কাইপে, জুম, বা সমগোত্রীয় কোনো মাধ্যম
    ব্যবহারে যে সুবিধা পাচ্ছে, তা এগুলোর প্রয়োগকে আরো গতিশীল করবে, ভবিষ্যতে
    যখন আমাদের সামাজিক দূরত্ব ঘুঁচে যাবে। এই প্রক্রিয়ায় একজন টিভি
    প্রতিবেদকের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণের ফলে তার যে ঘন্টার পর ঘন্টা ভ্রমণ
    সময় বেঁচে যাবে, তার ফলে সে ঐদিন আরো বেশি সাক্ষাৎকার বা নিউজ কনটেন্ট
    বানাতে সক্ষম হবে। জনগণ এই মাধ্যমগুলোকে, সবকিছুর জন্য, যেমন ভার্চুয়াল
    ব্যবসায়িক সম্মেলন থেকে শুরু করে অনলাইনে পারিবারিকভাবে জড়ো হওয়ার
    ক্ষেত্রে যেভাবে খুব সহজে গ্রহণ করছে, সেটা বৃহৎভাবে, নিম্নমানের প্রাসঙ্গিক
    ভিডিওর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাকেই ইঙ্গিত করে যা বিশ্বব্যাপী
    সংবাদমাধ্যমগুলোকে একটা অন্তর্নিহিত অনুমতি প্রদান করে – যেন তাঁরা এই
    কালক্ষেপণের ব্যাক্তিগত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা থেকে বেড়িয়ে আসে, সেটা
    ভালো বা মন্দ যাই হোক।
    আমরা আরো বেশি বিকেন্দ্রীভূত নিউজরুম দেখতে যাচ্ছি
    দূরবর্তী কর্মপরিবেশ এবং এমনকী কিছু দূরবর্তী ডিজিটাল নিউজরুম যেখানে
    সংবাদ কর্মীরা একই জায়গাতে কখনই জড়ো হয় না, তারা প্রচলিত নিউজরুমগুলির
    সাথে পুরোপুরি প্রতিযোগিতা করার জন্য পর্যাপ্ত স্পৃহা অর্জন করতে পারেনি।
    এমনকি তারা সফল হওয়ার পরেও, কেন্দ্রিয় নিউজরুমের পরিবেশে তারা বেশ
    খানিকটা উৎকর্ষতা লাভ করে, যেখানে অন্তত একটি মূল সম্পাদকীয় দল জড়ো
    হতে পারে। এখন সেই ধারা পাল্টেছে এবং ঐতিহ্যবাহী নিউজরুমগুলি, যেগুলো সর্বদা
    একটি মূল অফিস কেন্দ্রিক বিদ্যমান ছিল, এমনকি যদি তাদের পরিকাঠামো ও
    সংবাদদাতাগণ সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়ানো ছিল, তবে তারাও এখন সম্পূর্ণ কর্মীদের
    সাথে দূরবর্তীভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপায় অন্বেষণ করতে বাধ্য হচ্ছে। এই
    নতুন, বিকেন্দ্রীভূত নিউজরুমগুলি এই মুহুর্তে সাময়িক অসুবিধা বা গিঁট্টুর মতো
    মনে হতে পারে, তবে সময়ের পরিক্রমায় যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং উদ্ভাবনগুলি
    সফল হিসাবে প্রমাণিত হবে, তখন অনেকেই এই উদ্ভাবনগুলিকে আরো সামনে
    এগিয়ে নেওয়ার সম্ভবনা দেখতে পাবে। ধরুন সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীভূত একটা রেডিও
    নিউজ নেটওয়ার্ক বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শহর থেকে প্রযোজক, উপস্থাপক এবং
    লেখকদের একসাথে-একই সময়ে একটা নেটওয়ার্ক এর আওতায় এনেছে। অপরদিকে
    ক্ষীণকায় সংবাদ শিল্পের বাজেট এবং প্রকৃতপক্ষে একটা নিউজরুমের মালিকানা,
    ইজারা বা রক্ষণাবেক্ষণের উচ্চ ব্যয় বিবেচনা করুন।
    আইহার্ট রেডিওর মতো গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যে সংবাদকর্মী নিয়োগ দিয়েছে
    যারা কয়েকশ মাইল দূরের বাজারের জন্য স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন তৈরী করছে
    (যদিও এই বিবৃতিটি সেই প্রতিবেদনের মান নিয়ে নিশ্চিত নয়)। সংবাদ উৎ
Facebook Comments Box

Posted ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

মোঃ শামীম আসরাফ, সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

ঝাউদিয়া বাবলু বাজার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮ ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!