
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়ান্ট দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তিত হয়েছে। ইউরোপে প্রথমবার শনাক্ত হওয়া এই ভ্যারিয়ান্টকে ‘ডেল্টা প্লাস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ নিয়ে বুধবার (২৩ জুন) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের অন্যতম প্রধান উপসর্গ মাথাব্যথা। এর পাশাপাশি গলা ব্যথা, সর্দি এবং জ্বরও থাকতে পারে। তবে এই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হলে স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি কাশি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশ কম। যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী, পূর্ববর্তী ভ্যারিয়ান্টগুলোর চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট অন্তত ৬০% বেশি সংক্রামক। এছাড়া পূর্ববর্তী ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তদের তুলনায় ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের ভাইরোলজিস্ট জেরেমি কামিল বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে নতুন ডেল্টা প্লাস বেশি মারাত্মক, এরকম চিন্তা করার কোনো কারণ এখনো নেই। দুর্বল ইমিউনিটির মানুষ বা মহামারির শুরুর দিকে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের আবারো আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ডেল্টা প্লাস হয়তো ডেল্টার চেয়ে কিছুটা বেশি কার্যকর হবে, কিন্তু আমি এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হতে চাই না।
অন্যদিকে অনেক বিশেষজ্ঞই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়ান্টকে হালকাভাবে নেয়ার পক্ষপাতী নন। দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলোজির পরিচালক ডা অনুরাগ আগারওয়ালের মতে, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট থেকে তৈরি হওয়া সব ভ্যারিয়ান্টই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।