সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা , ছবি প্রতিদিনের কুষ্টিয়া
করোনাভাইরাসের এ দুঃসময়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবায় গত দেড় বছর ধরে কাজ করে চলেছেন ছাত্রলীগের একঝাঁক তরুণ কর্মী।
তাদের কেউ অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে আবার কেউ রোগীর সার্বিক সেবায় নিয়োজিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালটির ডাক্তার-নার্সদের পাশাপাশি এভাবেই করোনা রোগীদের পাশে রয়েছেন তারা।
করোনার এ সময়ে যখন হাসপাতালগুলো নিজেদের জনবল দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে কুষ্টিয়ার এ হাসপাতালটিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের এমন সেবামূলক কাজ দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। পাশাপাশি ছাত্রলীগের এসব কর্মীরা বিভিন্ন মহলের প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, জীবন বাজি রেখে তারা রোগীদের ওষুধ কেনায় সহায়তা, অক্সিজেন সরবরাহ, রোগীর নাকে অক্সিজেনের নল লাগানোসহ নানা কাজে নিরলসভাবে সহযোগিতা করছেন। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৬৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালাক্রমে এ সেবামূলক কাজ করে চলেছেন। রাতদিন করোনা ওয়ার্ডে সেবা দিতে গিয়ে এরই মধ্যে কয়েকজন আক্রান্তও হয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ প্রতিদিনের কুষ্টিয়া কে বলেন, মানব সেবার চেয়ে আর কোনও ভালো কাজ হতে পারে না। ছাত্রলীগ দেশের ক্রান্তিকালে সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে লোকবল সংকটে ভোগা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এতে আমাদের জীবনের ঝুঁকি আছে। এরইমধ্যে বেশকিছু কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তারা দায়িত্ব থেকে সরে যাননি। সুস্থ হওয়ার পর ফের যোগ দিয়েছেন কাজে। এতে তাদের মনে কোনও অভিমান নেই। যখন কোনও রোগী করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন, তখন তাদের মুখে থাকে এক তৃপ্তির হাসি। সেই হাসিটুকু এই ছাত্রলীগ কর্মীদের সব কষ্ট লাঘব করে দেয়।
ছাত্রলীগ কর্মীদের এই দৃষ্টান্তমূলক কাজে খুশি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও করোনা রোগীর স্বজনরা। করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসক টপি রানী কুন্ডু জানান, তাদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীরা যেভাবে করোনার আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে লড়াই করে চলেছেন তা নজিরবিহীন। হাসপাতালের লোকবল সংকটকে বুঝতেই দিচ্ছেন এই ছাত্রলীগ কর্মীরা।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার প্রতিদিনের কুষ্টিয়া কে বলেন, ছাত্রলীগের এই ছেলেগুলো যদি সময়মতো না এগিয়ে আসতো, তাহলে এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অনেক সংকট তৈরি হতো।
Posted ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)