আব্দুস সালাম,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :- কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া মাদক ব্যবসা বন্ধে মাইকিং করায় মুসুল্লিকে কুপিয়ে জখম করেছে এক মাদক কারবারি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়া বিল্লাল মোড় এলাকার মাদক কারবারি শামসুল প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও ব্যবসা করে যাচ্ছে। কেউ নিষেধ করলে তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে এই শামসুল।
সে এলাকায় প্রভাবশালী কিছু মানুষের ছত্রছায়ায় এই অপকর্ম করে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে থেকেই মসজিদে মুসল্লিরা মাদক সেবন ও বিক্রয় বন্ধে মাইকিং করে আসছে। এর জের ধরে গত বুধবার শামসুল মাতাল অবস্থায় মুসুল্লিদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে এবং বলে আমি মদ খাবো এবং ব্যবসা করবো কেউ পারলে বন্ধ করে যেন।
এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে আলাল নামের এক মুসুল্লি বাসায় যাচ্ছিলেন এমন সময় শামসুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আলাল এর উপর হামলা চালায়। এসময় আলালের মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শামসুল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আলালকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আলালের মাথায় ৭ টি সেলাই দিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এবিষয়ে কুমারখালী থানার আলাল বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে কয়া এলাকার মৃত রওশন আলীর ছেলে শামসুল (৩৮), মনি শেখের ছেলে কালু শেখ (২১), আয়ুব আলীর ছেলে আকাশ (১৯) ও আলাল এর ছেলে রাসেল (২৭) কে আসামি করা হয়।
স্থানীয়রা আরো জানান, শামসুল অনেক আগে থেকেই মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে মাদকের টাকা দিয়ে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চলে। ইতিপূর্বে কয়েকবার মাদক সহ প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছে শামসুল। এলাকাবাসী দ্রুত এই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Posted ১:৫৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
protidinerkushtia.com | editor