মোঃ গোলাম কিবরিয়া (জিবন)
নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে কুষ্টিয়ার গ্রামে গ্রামে। জেলায় আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালী ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রতিদিনের কুষ্টিয়া কে জানান, চলতি বছর আমন চাষে প্রতিকুল আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়েছে ছয় উপজেলার কৃষকদের। কিন্ত বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষান-কৃষানিরা। মাঠ জুড়ে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তারা। কথা বলার মতো ফুরসত নেই তাদের।
ধান কেটে অনেক কৃষকই আঁটি বেঁধে কাঁধে করে, আবার অনেকেই বিভিন্ন যানবহনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। বাসা-বাড়ির উঠানে চলছে আগাম জাতের ধান মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা তেমনি আনন্দও প্রচুর। অনেকের বাড়িতে চলছে শীতের সকালে ভাঁপা পুলি, তেল পিঠা, নতুন চালের পায়েস ও নাড়ু মুড়ির মুখরোচক খাবার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ছয় উপজেলায় ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে জেলায় প্রতি বছরের এবার বেশি জমিতে রোপা আমনের চাষ করা হয়েছে। মোট আবাদের মধ্যে রয়েছে সুগন্ধি ব্রি-ধান। অপরদিকে, কয়েক দফার বন্যা এবং অতি বৃষ্টির কারণে নিম্মাঞ্চলের আনেক জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলার মিরপুর উপজেলার কৃষক সোলাইমান মিয়া জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ধানের বাম্পার ফলন করেছে কৃষকরা। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো ধান কাটা শুরু হলেও আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু করেছে।
মিরপুরের ধান চাষি কুরবান জানান, কয়েক দফা বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধান চাষে ব্যাঘাত ঘটলেও এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আগাম জাতের ধানের বাম্পার ফলনে কৃষক বেজায় খুশি। এছাড়াও ওই জমিতে সার ছাড়া শীতের সবজির প্রচুর আবাদ হয়। এতে দুই দিক থেকে কৃষকের লাভ।
ইতোমধ্যে কৃষক ধান কাটতে শুরু করেছেন। বাজারে ভালো দাম পেলে কৃষক এবার লাভবান হবে। পাশাপাশি কৃষকের ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। এ যেন বাঙালি সংস্কৃতির চিত্র ফুটে উঠেছে গ্রাম-গঞ্জ
Posted ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)