কুষ্টিয়া দৌলতপুর ৪ নং মরিচা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আদম ব্যবসায়ী আরিফের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে রাব্বি সহ এক ডজন পরিবার। একটু সচ্ছলতা আনার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়ে চাকরি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল দৌলতপুর উপজেলা সহ মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়ার কয়েকটি পরিবার। রাব্বির গ্রামের সাবেক মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা বাশিরুল ইসলাম বানাত ও ইদ্রিস আলীসহ এই ২ ব্যক্তির উপস্থিতিতে টাকা প্রদান করে রাব্বির পরিবার আদম আরিফকে।এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আদম ব্যবসায়ী আরিফ অসহায় ওই পরিবারগুলোকে উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে সৌদি আরব পাঠান সাপ্লাই ভিসায়।কিন্তুু আদম আরিফ চুক্তি অনুযায়ী যে টাকা নিয়েছেন সে ভিসা প্রদান করেনি ও সঠিক কাগজপত্র রাব্বিকে দেয়নি। সেখানে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রাব্বি সহ অনেকেই।ভুক্তভোগী দৌলতপুর উপজেলা ৪ নং মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া গ্রামে সৌদি আরবে অবস্থানরত রাব্বি মোবাইল ফোনে সাংবাদিককে বলেন, সৌদি আরবে ভালো কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৯ লাখ টাকা নেন আদম আরিফ।১৭ মাস ভিসা পেয়ে সৌদি আরবে আসার পর তাকে একটি হোটেলে রিজার্ভ রেখে নির্যাতন করা হয় । সেখানে তার কাছ থেকে পাসপোর্টসহ কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারা টাকার জন্য মারধর-নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আরো টাকা দাবি করে বাংলাদেশ থেকে আদম(দালাল) আরিফ সহ তাঁর সিন্ডিকেট।রাব্বি আরো বলেন, আমি এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। কোথাও কোনো কাজ করতে পারছি না। দেশেও ফিরতে পারছি না। এক বেলা খেতে পারছি তো দু-বেলা না খেয়ে আছি। অনুসন্ধানে যানা যায় পূর্বে আদম আরিফ তাঁর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করেছে,আদম ব্যবসায়ী আরিফের একটি মানব পাচার চক্র রয়েছে ,এ চক্রের সঙ্গে জড়িত ফরিদপুর মধুখালীর ছেলে আদম নিরু,এই নিরু ঢাকার বনানী সৈনিক ক্লাবের পাশে মামা হোটেলের ৪র্থ তলাতে স্মার্ট ইমপ্লোয়ী ওভারসীজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং শাখায় দায়িত্বে আছেন। পরে কৌশলে রাব্বি তার ভায়ের কাছে সৌদিতে কোনভাবে প্রানে বেঁচে মানবেতর জীবনযাপন করছে বর্তমান।সৌদি আরবে রাব্বির বর্তমান অবস্থান নিয়ে রাব্বির পরিবার, তার গ্রামের স্থানীয় মেম্বার বাশিরুল ইসলাম বানাত (মেম্বার) ও ইদ্রিস আলী এদের ২ জনকে বিস্তারিত বল্লে তারা বলেন রাব্বির পরিবারকে, আরিফ দালালের সাথে তোমাদের বিষয়ে তোমরা ঠিক করে নাও,আমরা এসব ঝামেলার মধ্যে নাই এসব কথা বলে পাস কাটিয়ে যায় এই ২ জন আদম আরিফকে টাকা প্রদানের প্রত্যক্ষদর্শী । এ বিষয়ে আদম আরিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাব্বির বিষয়টি আমরা দেখছি আমি রাব্বিকে সৌদি আরব পাঠিয়েছি স্মার্ট ওভারসীজ এজেন্সি বনানী অবস্থানরত নীরু ভাইয়ের মাধ্যমে,সৌদি আরবের ভিসা ৯ লাখ টাকা প্রসঙ্গে আদম আরিফকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমি আরিফ দীর্ঘদিন লোক পাঠাচ্ছি সৌদিসহ বিভিন্ন দেশে এর চেয়ে বেশি টাকা নি, আর কম টাকা নি, আপনারা সাংবাদিক হয়েছেন তো কি হয়েছে! আমার যা ইচ্ছা তাই করব!এতে আপনাদের সমস্যা কি!আরিফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আদম নিরুর মোবাইল ফোনে কল দেওয়ার পর এবং সরেজমিনে তার সাথে সাক্ষাৎ করা হলে তিনি রাব্বির বিষয়ে বলেন স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ওভারসিজ লিমিটেড এর মালিক বিষয়টি অবগত, তিনার কাছ থেকে জেনে আমাকে বলতে হবে,তবে আদম নিরু রাব্বির এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই ও সাংবাদিককে অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে অফিস থেকে বের হয়ে গেছে নিরু। সৌদিতে অবস্থানরত রাব্বি ও রাব্বির পরিবারের দাবি দ্রুত এ আদম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ভুক্তভোগীদের দেশে ফিরিয়ে আনার। এ বিষয়ে স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ওভারসিজ লিমিটেডের মালিক এর সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তার অফিস স্টাফ সুমনের মাধ্যমে জানান, বিষয়টি নিয়ে নিরুই দেখাশোনা করেছে আমি সাংবাদিকের সাথে কথা বলবোনা।
Posted ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
protidinerkushtia.com | editor