ইশতিয়াক আহাম্মেদ
কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিন পালিত। সাবেক এম পি ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সহ সভাপতি, আলহাজ্ব মোঃরেজাউল হক চৌধুরী র সভাপতিত্বে, এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জননেতা ত্র্যাডঃ শরীফ উদ্দীন রিমন, এর সঞ্চালনায়। ত্র্যাডঃমির্জা আলম রিগান ও মারুফা ইয়াসমিন সুরভি র পরিচালনায়।
সঞ্চালক, ত্র্যাডঃশরীফ উদ্দীন রিমন বলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার ও নারী সমাজের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে (৮ আগস্ট২০২১)বিকেল ৩টায় দৌলতপুর পাইলোট গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে ত্র্যাডঃ শরীফ উদ্দীন রিমন উল্লেখ করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য, “বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী”, অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ত্র্যাডঃ রিমন বলেন, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্ম। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা। যে-কোনো পরিস্থিতি তিনি বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য ও সাহস নিয়ে মোকাবেলা করতেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহ-ধর্মিণী হওয়ার পর তাঁর জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তিনি কেবল জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত। দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেই কঠিন দিনগুলো দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করেছেন। পরিবারের দেখাশোনার পাশাপাশি স্বামীর মুক্তির জন্য মামলা পরিচালনা, দলের সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা দান সবই তাঁকে করতে হয়েছে। তিনি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও গরিব আত্মীয় স্বজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ অর্থনৈতিক সংকটে মুক্তহস্তে দান করতেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। তাঁরই পরামর্শে বঙ্গবন্ধু হৃদয় থেকে উৎসারিত অলিখিত এ ভাষণ প্রদান করেন।
দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা তাঁকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাঁকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বলে মনে করেন তিনি। এই সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতছিলেন,মোঃহাবিবুর রহমান হবি লস্কর, মোঃমোফাজ্জেল হক, ত্র্যাডঃ নজরুল ইসলাম, মোঃসেলিম চৌধুরী, মোঃ এ,কে,এম,ফজলুল হক কবিরাজ, ডাঃগিয়াস, উদ্দীন মোঃশহিদুল হালসানা,মোঃ গোলাম জাকারিয়া জাকির, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ শাজান মেম্বার, মোঃআসমত আলী মাষ্টার, মোঃ মামুন কবিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগ কুষ্টিয়া, মোঃ হাফিজ দেওয়ান, মোঃ জুলফিকার আলী সুমন, মোঃশাওন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া।মোঃ শহিদুল, সহ ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী।
এবং সমাপনি বক্তব্য সাবেক এম পি, সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী। তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহিদ হন। জাতির ইতিহাসে যা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কেক কেটে জন্মদিন পালন ও দোয়ার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন রেজাউল হক চৌধুরী।
Posted ৫:১৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ আগস্ট ২০২১
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)