ক্রমেই কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় তুলা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। এ উপজেলায় এ বছর লক্ষ্য মাত্রার সমপরিমান ১২৫ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে । তবে চাষের শুরুতে আগষ্ট মাসের বৃষ্টিতে দুই হেক্টর জমি পালিতে প্লাবিত হওয়ায় নষ্ট হয়েছে।
দেশী জাতের তুলা উৎপন্নের সময় লাগে ৬ মাস। অন্যদিকে হাইব্রীড জাতের তুলা উৎপন্ন হতে সময় লাগে সাড়ে ৫ মাস। তাই তুলাচাষীরা ক্রমেই ঝুঁকছে হাইব্রীড তুলা চাষের প্রতি। এ বছর তুলার ফলন ও দামে কৃষক বেশ সন্তুষ্ট।
উল্লেখ্য, গত বছর ২ হাজার ৪ শত টাকা মণ দরে সরকার তুলা ক্রয় করলেও চলতি বছর সরকার মণ প্রতি ৩ শত টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৭ শত টাকা নির্ধারন করেছে।
মিরপুর উপজেলা কটন ইউনিট অফিসার আবদুস সাত্তার বলেন, এ বছর তুলার দাম বাড়ায় চাষীরা খুশি । এবার ফলনও বেশি হয়েছে।এতে চাষীরা কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, তুলার বহুবিধভাবে ব্যবহার হয়। এক মণ তুলায় ২৮ কেজী তুলা বীজ ও ১২ কেজী ফ্রেশ তুলা থাকে। তুলা বীজ ভোজ্যতেল ও গ্লিসারিন হিসাবে ব্যবহার হয়। এক কেজী তুলা বীজে অপরিশোধীত ৬০০ গ্রাম তেল উৎপন্ন হয় এবং পরিশোধন করলে এককেজী তুলা বীজ থেকে ৪০০ গ্রাম ফ্রেশ ভোজ্য তেল পাওয়া যায়।
Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
protidinerkushtia.com | editor