নিজস্ব প্রতিনিধি
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে কুমারখালীতে অবৈধ পলিথিন তৈরির কারখানা।
বেশ কিছু গণমাধ্যমের শিরোনামে আসার পর-পর অবৈধ পলিথিন কারখানাটি (গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সিলগালা করে দেয় কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান।
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গবরাচাঁদ পুর গ্ৰামের স্কুল পাড়ায় সালেহিন মিয়া সেলিমের একটি অবৈধ পলিথিন কারখানা গড়ে উঠে । সেই কারখানা থেকে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছিল জেলা জুড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকায় বিশাল জায়গায় জুড়ে থাকা নিজের বাড়ির পাশে একটি অবৈধনিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা গড়ে তোলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানায় অবৈধ নিষিদ্ধ নানা রকম পলিথিন তৈরি করে কুষ্টিয়া জেলা ও আশপাশের জেলাও উপজেলায় বাজারজাত করা হচ্ছিল।
গতকাল বুধবার (১৭) ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় পলিথিন উৎপাদনের মেশিনপত্র, পলিথিন তৈরির বিভিন্ন রকম উপকরণ এবং পলিথিনের রোল পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন প্রকার পলিথিন, এলডিপি দানা,পলিথিনের রোল,পলিথিন তৈরির বিভিন্ন উপকরণসহ টন কে টন পলিথিন তৈরির মালামাল পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ মালামাল জব্দ করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মন নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে অবৈধ ভাবে কারখানা গড়ে তোলার অপরাধে ভিতরে থাকা পলিথিনসহ যাবতীয় সরঞ্জমাদি জব্দ করে কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। তবে অভিযানের আগেই কারখানা মালিক সেলিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
Posted ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)