মোঃ গোলাম কিবরিয়া (জিবন)
কুষ্টিয়ায় মাত্র তিন কার্যদিবসে একটি ধর্ষন মামলার যুগান্তকারি রায় দিয়েছে আদালত। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ (চকপাড়া) গ্রামের সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষনের আলোচিত ওই মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও অর্থদন্ডের টাকা আসামীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্থ মাদ্রাসা ছাত্রীকে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান জনাকৃণ্য আদালতে যুগান্তকারি এ রায় ঘোষনা করেন।
এসময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের আদালতে উপস্থিত ছিলো।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গেল মাসের (অক্টোবর) ৪ তারিখ ভোর ৫টায় মাদ্রাসার নাহাবিলা শ্রেনীর (অষ্টম) আবাসিক ছাত্রীকে নিজের অফিস কক্ষে ডেকে ধর্ষন করে। একই দিন রাত ৮টার দিকে আবারও ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে মাদ্রাসা সুপার। এ ঘটনা এইক মাদ্রাসার আরেক ছাত্রী দেখে ফেলেন। তার কাছ থেকে শুনে পরদিন ৫ অক্টোবর মেয়েকে নিয়ে মিরপুর থানায় গিয়ে ধর্ষন মামলা করেন বাবা। ৯ দিনের মাথায় ১৩ অক্টোবর তদন্ত
শেষে পুলিশ চার্জশীট দাখিল করেন।
আসামী আব্দুল কাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। আসামী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ মোতাবেক গত ১২ নভেম্ভর আদালত অভিযোগ গঠন করেন। সে সময়আসামী আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন। ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমানে মাত্র তিন কার্যদিবসে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হলে আজ আদালত তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষনা করেন।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ
কুমার নন্দী বলেন, মাত্র তিন কার্যদিবসে ধর্ষনের এ রায় যুগান্তকারি। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষন বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সরকারের নতুন আইনের পর দ্রুততম সময়ে এই রায় দেয়া সম্ভব হয়েছে। এটি ধর্ষন প্রতিরোধে বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
Posted ১০:১০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)