কুষ্টিয়ায় আলোচিত তিন খুনের আসামি এএসআই সৌমেন রায়কে কুষ্টিয়া কোর্টে আনা হয়। আজ ১৪ জুন দুপুর ১টা ১০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের ডিবি কার্যালয় থেকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে মোঃ রেজাউল করিমের আদালতে নেয়া হয় ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার জানান, আসামি সৌমেনকে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দির নেয়া হয়।
এদিকে আজ সোমবার সকালে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে নিহত আসমা খাতুন, তার শিশু পুত্র রবিন এবং প্রেমিক শাকিল খানের দাফন সম্পন্ন করে স্বজনরা।
নিহতদের পারিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার বাদ জোহর নিহত আসমা খাতুন ও তাঁর শিশু পুত্র রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম একই উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমীয়া মাদ্রাসায় জানাজা শেষে সোমবার দুপুর ১২ টায় সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়।
লাশ দাফন শেষে নিহত আসমার ভাই বাবুল শেখ বলেন, ‘ দেশে পুলিশ এখন বড় সন্ত্রাসী। সরকার আর্মস (অস্ত্র) দিয়েছে জনগণের নিরাপত্তার জন্য। সেই আর্মস যদি জনগণকে হত্যায় ব্যবহৃত হয় তাহলে জনগণ কি করবে? তিনি আরো বলেন, সৌমেন আমার বোন ও ভাগ্নেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। প্রচলিত আইনে সুষ্ঠ বিচার চাই।’
আসমার বাবা আমির শেখ বলেন, সৌমেন পরিচয় গোপন করে তিন বছর আগে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। হত্যার পর জানলাম সৌমেন হিন্দু। তিনি আরো বলেন, এমন হত্যা কোন ভাবেই বাবা হিসেবে মানতে পারছিনা। সৌমেনের ফাঁসি চাই।
অপরদিকে নিহত শাকিলের বাবা মিজবার বলেন, আমার ছেলের কোন দোষ ছিলোনা। কেন তাকে হত্যা করা হল? দেশের পুলিশ মাজায় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীর মত আচরণ করে। এমন আচরণ বন্ধ করতে হবে এবং শাকিল হত্যার সুষ্ঠ বিচার করতে হবে।
চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টু বলেন, পুলিশের গুলিতে জনগণ মারা যাবে, তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। পুলিশ বাহিনীকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ট্রিপল মার্ডার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার প্রত্যাশা করি।