নিজস্ব প্রতিবেদক:- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী বটতলা এলাকায় পৌরসভা কতৃক পানি নিষ্কাশনের ড্রেনে জোড়পূর্বক ভাবে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে মাছ চাষ করার কাজে বাধা দেওয়ায় লাহিনী বটতলা এলাকার মৃত কফিল উদ্দিনের সেখের ছেলে জিয়াউল মাহমুদ (৩৫) কে প্রান নাশের উদ্দেশ্যে বেধরক ভাবে মারপিট করে আহত করেছে একই এলাকার পুকা ঢালীর ছেলে রেন্টু ঢালী (৩৫) তার আপন ভাই রোহান ঢালী (৩৮) তার ছোটবোন রুমা (২৭) ও তার স্বামী খয়বার, চাচাতো ভাই মক্কেল ঢালীর ছেলে শামীম, সহ রেন্টুর মা ও চাচী বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলা পশ্চিম পাড়া এলাকার লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে প্লট আকারে পরিত্যক্ত জায়গায় বৃষ্টির পানি ভড়াত হলে সেখানে ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের যাতায়াতের রাস্তা ধিয়েল পেতে বন্ধ করে বৃষ্টির পানি বদ্ধ সৃষ্টি করে সেখানে মাছ চাষ করে রেন্টু ঢালী তার আপন ভাই রোহান ঢালী ও তার চাচাতো ভাই শামীম। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ড্রেনের মুখ ধিয়েল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার কারনে পানি যাতায়াত বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্লাবিত হয় আশেপাশের অনেকগুলো বসত বাড়িঘড়।
গত কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়ায় মুশলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারনে লাহিনী বটতলা এলাকায় রেন্টুর ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ার কারনে বৃষ্টির পানিতে জিয়াউল মাহমুদের বসত বাড়ি সহ আশেপাশের অনেক বাড়ি প্লাবিত হয়ে যায়। তারই পরিপেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই ২০২০ তারিখ আনুমানিক বিকেল ৪ ঘটিকার সময় জিয়াউল মাহমুদ তার আপন ভাই ইয়ারুল ইসলাম ও তার ভাতিজা শাওন রেন্টুকে গিয়ে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের যাতায়াতের রাস্তায় দেওয়া বাঁধ খুলে দিতে বললে অকথ্যা ভাষায় গালাগালিজ শুরু করে এবং আকস্মিকভাবে এলাকার পুকা ঢালীর ছেলে রেন্টু ঢালী (৩৫) তার আপন ভাই রোহান ঢালী (৩৮) তার ছোটবোন রুমা (২৭) ও তার স্বামী খয়বার, চাচাতো ভাই মক্কেল ঢালীর ছেলে শামীম, সহ রেন্টুর মা ও চাচী মিলে জিয়াউল মাহমুদকে প্রান নাশের উদ্দেশ্যে বেধরক কিল, ঘুষি লাথি মারতে শুরু করে।
এ সময় জিয়াউলের ছোট ভাই ইয়ারুল ইসলাম ও ভাতিজা শাওন এবং জিয়াউলের মা ও ভাবি তাকে উল্লিখিত ব্যাক্তিগুলোর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাধা সৃষ্টি করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সকলকেই কিল ঘুষি মারতে মারতে তাদের পরনের বস্ত্র টেনে ছিরে বিবস্ত্র করে ফেলে। বর্তমানে এ ঘটনার পর খুবই ভয়ের মধ্যে রয়েছে জিয়াউলের পরিবার। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন,রেন্টু লাহিনী বটতলা এলাকার এক সময়ের ত্রাস সন্ত্রাসী রফিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড তাই তার বিরুদ্ধে কেউ কখনো প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা।
তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লাহিনী বটতলা এলাকাবাসী। গায়ের জোড়ে সে বটতলা এলাকায় ড্রেন বন্ধ করে মাছ চাষ করে আসছে যার ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অসহায় এলাকাবাসী। আর কেউ যদি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে পরতে হয় মহাবিপদের মুখে। রেন্টু সন্ত্রাসী রফিকের সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড হবার কারনে এলাকায় মাদক, জুয়া, মারামারী, খুন, সরকারি গাছ কর্তন সহ এমন কোন এহেন কাজ নেইযে সে করেনা। এ বিষয়ে অভিযোগকারী জিয়াউল মাহমুদ বলেন,রেন্টু এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসী হবার কারনে তার বিরুদ্ধে কেউ কখনো প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা।
আমি প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। এ ছাড়াও আনুমানিক ২০ বছর আগে রেন্টু সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আমার ভাই গিয়াস প্রতিবাদ করার কারনে রেন্টুর নেতৃত্বে রেন্টু বাহিনীর লোকজন তাকে হত্যা করে। বর্তমানে সন্ত্রাসী রেন্টুর কারনে লাহিনী বটতলা এলাকাবাসী খুবই আতংকের মধ্যে জীবন যাপন পার করছে। এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ বিষয়গুলো বিবেচনা করে রেন্টুর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
Posted ২:০৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
protidinerkushtia.com | editor