কুষ্টিয়ায় পরকীয়ার জের ধরে রনি ইসলাম নামে যুবক হত্যা মামলায় এক নারীসহ ২জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের হায়দারের চর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন (২৫) এবং হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুন (৩৮)।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, তাজপুর গ্রামের নাহারুল ইসলামের ছেলে রনি ইসলাম ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সোনাইকুন্ডি বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি।
এরপর ২০১৮ সালের ১লা ফেব্রæয়ারী বিকেলে চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর চরে বালির ভেতর পুতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে দৌলতপুর থানা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে একই গ্রামের প্রবাসী আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী সীমা খাতুনের সাথে রনি ইসলাম পরকীয়া সম্পর্ক হয়। পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে সীমা খাতুন কৌশলে রনি ইসলামকে উদয়নগর চরে ডেকে নিয়ে সজিব হোসেনের সহায়তায় তাকে হত্যা করে লাশ চরের বালির ভেতর পুতে রাখে।
২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারী হত্যা মামলরার চার্জ গঠন করা হলে ১৫ জনর স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, রনি ইসলাম হত্যা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক সজিব হোসেন ও সীমা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেককে ২০হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
Posted ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | editor