কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানা পুলিশ কর্তৃক নিখোঁজ মোছাঃ শামীমা বেগম(৪৪), পিং-মৃত আশরাফ উদ্দিন, সাং-রানাখড়িয়া, থানা-মিরপুর, জেলা-কুষ্টিয়া এর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত মূল আসামীসহ ০২ জন গ্রেফতারঃ জনৈক মোঃ শফিউল আজম(৫২), পিং-মৃত আশরাফ উদ্দিন, স্থায়ী ঠিকানা সাং-রানাখড়িয়া, থানা-মিরপুর, জেলা-কুষ্টিয়া (বর্তমান ঠিকানা-বাসা নং-৩১২, সংগ্রামী স্মরণী রোড, কাঁচা বাজার, থানা-দক্ষিণখান, জেলা-ঢাকা) গত ০৪/০৩/২০২১ তারিখ মিরপুর থানায় হাজির হইয়া তার বোন মোছাঃ শামীমা বেগম(৪৪) নিখোঁজ হইয়াছে মর্মে সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মিরপুর থানা পুলিশ বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করেন যাহার নং-১৫২ তারিখ-০৪/০৩/২০২১ খ্রিঃ। উক্ত ঘটনার ঘটার পর কুষ্টিয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খাইরুল আলম মহোদয় তাৎক্ষনিক ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী মিরপুর থানা পুলিশ সাধারণ ডায়রী তদন্তকালে ভিকটিমের চাচাতো ভাই শামীম হোসেন(৪০), পিং-মোঃ নায়েব আলী মৃধা, সাং-রানাখড়িয়া, থানা-মিরপুর, জেলা-কুষ্টিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিতে পারেন, ভিকটিম শামীমা’র মা মারা যাওয়ার পরে তার ভাই শফিউল আজম অন্য এক মহিলাকে মা সাজিয়ে তার মায়ের নামে ঢাকায় ৬তলা বাড়ী ও মার্কেট নিজের নামে লিখে নেয়। বিষয়টি ভিকটিমের বাবা জানতে পেরে বাদী হয়ে ঢাকায় সিভিল কোর্টে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকটিম মোছাঃ শামীমা বেগম। অনুমান ৩০ বছর পূর্বে ভিকটিম শামীমার নেত্রকোনা সদরে বিবাহ হয় এবং খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। শামীমা তার বাবার বাড়িতে ঢাকায় বসবাস করত। ভাইয়ের অত্যাচারে একপর্যায়ে শামীমা তার পূর্বের স্বামীর নিকট ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। এই সুযোগে শফিউল আজম তার চাচাতো ভাই শামীমকে নিয়ে তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫/০২/২০২১ তারিখ মিরপুর(কুষ্টিয়া) থেকে শামীম হোসেন তার চাচাতো বোন শামীমাকে নিয়ে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬/০২/২০২১ তারিখ নেত্রকোনা শহরে গিয়ে সকালে একটি হোটেলে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে ২৭/০২/২০২১ তারিখ দিবাগত রাতে (অর্থাৎ ২৮/০২/২০২১ তারিখ ভোর রাতে) শফিউল আজম উক্ত হোটেলে দুইজন লোক পাঠায়। শামীম হোসেন অজ্ঞাতনামা দুইজন ব্যক্তির সহযোগিতায় মোছাঃ শামীমা বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নেত্রকোনা মডেল থানা থেকে ১২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে কংস নদীতে ফেলে দেয় বলে শামীম হোসেন স্বীকার করে। গত ০৩/০৩/২০২১ তারিখ বেলা অনুমান ১২.৪৫ ঘটিকায় উক্ত নদীতে ভাসমান অবস্থায় মহিলার লাশ পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-০৫/০৩/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় শফিউল আজমকে মিরপুর থানা পুলিশ আটক করে। পুলিশ সুপার মহোদয়ের সময়োপযোগী নির্দেশনায় জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) এবং জনাব মোঃ আজমল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, মিরপুর সার্কেল, কুষ্টিয়াসহ মিরপুর থানার চৌকস টিম আধুনিক টেকনোলজী ও তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ মোছাঃ শামীমা বেগম(৪৪)এর মৃত্যু রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত মূল আসামীসহ ০২ জন গ্রেফতার করেন। অদ্য ০৮ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ তারিখ পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া মহোদয় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Posted ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১
protidinerkushtia.com | editor