কুষ্টিয়া শহর ও সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের সংযোগ শেখ রাসেল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট ঠিকই আছে, তবে বাতি জ্বলে না। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো সেতুটি।
বাতিগুলো দীর্ঘদিন নষ্ট থাকায় রাতে সেতুতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে।
আর সেতু অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে মাদকসেবীরা। তারা এ সেতুর উপরে ও নিচে বসে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর জন্য গড়াই নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য সেতুটি ব্যবহার করে থাকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়,২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ রাসেল সেতু ৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সেতুটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ। সেতু উদ্বোধনের কয়েক দিনের পর থেকে একটি-দুটি করে বাতি নষ্ট হতে থাকে। রক্ষণাবক্ষেণের অভাবে সেতুর প্রায় সব বাতি এখন নষ্ট।
স্থানীয়রা জানান, শেখ রাসেল সেতুর বাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা নামলে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেতু এলাকা বাতি না জ্বলায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারীরা প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এছাড়া সেতুতে বাতি না থাকায় মাঝে মধ্যে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর বাতি না জ্বললেও এতে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এলাকার অনিক বলেন, সন্ধ্যার পর এই সেতুগুলো মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। এই মাদকসেবীরাই অনেক সময় পথচারীদের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও রয়েছে এখানে।
হাটশ-হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, বার বার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। সেতুতে অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় প্রায় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
এলজিইডির কুষ্টিয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মণ্ডল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘সেতুটির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। আমি যোগদান করার পরই তা পরিশোধ করেছি। নষ্ট বাতি মেরামত করে শিগগিরই আবার জ্বলতে শুরু করবে। এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।