সারা দেশে ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া গণটিকা কর্মসূচি সফল করতে দলের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রচার চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকার প্রচার চালানোর বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের যৌথ বৈঠকে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
টিকার জোগান নিয়ে আশ্বস্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। এই বছরের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ৭ থেকে ১৪ আগস্ট সারা দেশে গণটিকাদানের কর্মসূচি পালিত হবে। দেশের ১৪ হাজার টিকা কেন্দ্রে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। গণটিকা কর্মসূচি যাতে সফলভাবে সমাপ্ত হয়, এ জন্য দল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সারা দেশে প্রচার চালাতে হবে। নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশ দিয়েছেন, টিকাদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা থাকার নতুন তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের ২ আগস্ট যুক্তরাজ্যের আইটিভিতে প্রচারিত এক অনুষ্ঠানের একটি সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মেজর ফারুক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। কর্নেল ফারুকের স্বাক্ষরে সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুল তাঁর একটি বইতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন।
দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে অনেকে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর আমরা বিচারই চাইতে পারিনি। হত্যাকাণ্ডের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, অর্থাৎ যারা বেনিফিশিয়ারি ছিল জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের আলামত-দলিল দস্তাবেজ নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। খুনিরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে। এই লক্ষ্যে তারা জাতির সামনে থেকে সত্যকে আড়াল করতে চেয়েছিল। কিন্তু সত্য হলো সূর্যের মতো সমুজ্জ্বল। সূর্যকে ক্ষণিকের জন্য আড়ালে লুকিয়ে রাখা সম্ভব, কিন্তু তিমির বিনাশী হিসেবে তার আবির্ভাব যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি মিথ্যার বেড়াজাল ছিন্ন করে সত্য উদ্ভাসিত হবেই একদিন।’ তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।