মেহেরপুরের গাংনীতে রাস্তায় ধানগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। রাস্তা পাঁকা করণের দাবীতে বৃহষ্পতিবার সকাল ১১ টায় ধানখোলা বাগানপাড়া এলাকার শিক্ষক,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,কৃষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেয়া অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও পাকা রাস্তার অভাবে মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। রাস্তাটি পাকা করণ না করার কারনে শিক্ষার্থীরা যেমন স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয় ঠিক তেমনি কৃষকদের তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতেও চরম কষ্ট পোহাতে হয়। অনেক সময় রাস্তায় কাঁদার কারনে ফসল অনেক সময় জমিতে পচে নষ্ট হয়। আবার রাস্তায় প্রচুর পরিমান কাঁদা থাকার কারনে গাড়ি চলাচলেও সমস্যা হয়। একারনে ঘরে ফসল তুলতে ও বাজারজাত করতে বেশি শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। একারনে চাষাবাদের খরচ খরচার পরিমান বেড়ে যাওয়ায় অনেক জমিই পতিত থেকে যাচ্ছে। দ্রত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকা করণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। কৃষকরা বলেন,কাঁদা মাটি পাড়ি দিয়ে এলাকার কৃষকরা ১ হাজার বিঘারও বেশি জমির চাষাবাদ করে। কিন্তু সময় মত ফসল ঘরে তুলতে পারেনা। বছরের প্রায় সময় কাঁদায় ভরপুর থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি পাকা করনের দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ আমলেই নেয়নি। রাহুল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,কাঁদা মাটি পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। অনেক সময় জামা কাপড়ে কাঁদা লেগে যায়। ধুয়ে মুছে ভিজা পোশাকেই ক্লাস করতে হয় এজন্য অনেক শিক্ষার্থীই নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে হলেও দ্রত সময়ে মধ্যে রাস্তাটি পাকা করণের দাবি করেন তিনি। ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আখেরুজ্জামান বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য বাজেট দিয়ে এই রাস্তা করা কষ্ট সাধ্য তবে কিছুটা হেয়ারিং বন্ড করা হয়েছে। এই রাস্তা পাকা করনে জন্য বেশ কয়েকবার মন্ত্রনায়লে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বারবার অনুরোধ করা সত্বেও রাস্তাটি পাকা করণ করা হয়নি। একারনে ঐ এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ কাঁদা মাটিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ বলেন,রাস্তাটি পাকা করনের পরিকল্পনা রয়েছে। রাস্তাটি যাতে দ্রত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হয় এজন্য কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।