হাফিজুর রহমান
শনিবার ৮ শে আগষ্ট সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল এক্সপ্রেসের একটি নৈশকোচ যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যথাক্রমে একটি পাখিভ্যান, আলমসাধু (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান) ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় এলাকার লোকজন ফায়ার সার্ভিস কে খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান ।
ওই ঘটনায় চালক আসাদুল ইসলাম(৪৫) চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ফার্ম পাড়ার আব্দুল ওহাব এর ছেলে ও ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল এক্সপ্রেসের একটি নৈশকোচ (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-২১৬১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যথাক্রমে একটি পাখিভ্যান, আলমসাধু (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান) ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। আহত হন আরও ৯ জন। পরে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান আরও ৩ জন।
নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার তিতুদহের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (২৫),একই গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফ উদ্দিন (৩০), পিত্তর আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫),হায়দার আলীর ছেলে কালু (৪০) খাড়াগোদার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মিলনে হোসেন (৪০),শ্রী নিতায়ের ছেলে শ্রী ষষ্ঠী (৪২)। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাসসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। হাসপাতালে নিহত ও আহতদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম জানান (সিংক), ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। পরে চালক আসাদুল ইসলাম কে আটক করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান।
Posted ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor