নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নে ব্যপক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম জামিরুল ইসলাম বাবু গত ৩১ মার্চ ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এই চেয়ারম্যান। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর পরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বার মূল মন্ত্রকে সামনে নিয়ে
ইউনিয়নের ব্যপক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। রাস্তা, রাস্তার মোড়ে মোড়ে জনসাধারণের বসার পাকা টাইলস করা বেঞ্চ, সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হয় এমন জায়গায় বসানো হয় সৌর বিদ্যুতে মাধ্যমে চালিত স্ট্রিট লাইট, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অন্যান্য ইউনিয়নে পরিষদে বয়সের উপর ভিত্তি করে যেমন নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা, কিন্তু অত্র ইউনিয়ন এ জন্ম নিবন্ধন এর জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তিক নির্ধারিত ফি ছাড়া কোন প্রকার অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না।, এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ, ইউনিয়নে আসা সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা সুষ্ঠু ভাবে বন্টন করে থাকেন । এই ইউনিয়নে বসবাস করা লোকজনের বিপদ অাপদে সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি, এবং প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষ করেই বেরিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তার নিয়ম অনুযায়ী এক এক দিন একএকটি ওয়ার্ড । সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এই রিফাইতপুর ইউনিয়নে বেশ কয়েক যুগ ধরে আওয়ামী লীগ মনোনীত কোন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেনি যার কারণে শুধু ইউনিয়নটি ছিলো, ইউনিয়নে ছিলো না কোন উন্নয়ন। সেই ভঙ্গুর দষা পেরিয়ে নৌকা পতিক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে সর্ব প্রথম আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জামিরুল ইসলাম বাবু এই রিফাইতপুর ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার পর থেকেই সর্বদা মানুষের পাশে দাড়িয়ে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। এমন কি সে গরিবের চেয়ারম্যান হিসেবেও পরিচিতি লাভ করে অত্র ইউনিয়নে, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বাসীকে ভালোবসেন তাই ইউনিয়ন বাসী তাকে ভালোবাসে, এক কথায় এই ইউনিয়নে সুষ্ট ধারার কার্যক্রম ন্যায় নিষ্ঠা ভালোবাসার কারনেই জনপ্রিয়তার শির্ষে অবস্থান করছে চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু।
তাই তার এই জনপ্রিয়তা দেখে একদল কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন সময় নানানভাবে অপপ্রচার চলাতে ব্যাস্ত থাকে এমনকি কিভাবে ইউনিয়নের উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডকে বাধা দেওয়া যায় এই চিন্তায় তাদের কাটে সারা দিন। তাই বিভিন্ন সময় হয়রানি মুলক হামলা মামলা চালাতে থাকে এই কুচক্রী মহল।আবার পুনরায় সামনে নির্বাচনকে ঘিরে তৎপর ঐ মহলটি যেটা সচেতন ইউনিয়ন বাসী সবাই জানে এবং তারা যে কোন ভাবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অগামী নির্বাচনে যেন অংশ নিতে না পারে তার সদা তৎপর তারা। কিন্তু ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু।
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যড শরিফ উদ্দিন রিমন জানান, জামিরুল ইসলাম বাবু একজন ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা, ও নির্যাতিত নেতা। জামায়েত বিএনপির সময়ে আওমীলীগ করার কারনে রাতে ঘরে ঘুমাতে পারেনি৷ দিনের পর দিন পালিয়ে থেকেছে সকল অন্বেয় অবিচার শয্য করে এখন সে একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আমি তার সর্বদা সাফল্য কামনা করি।
প্রতিবেদকের সাথে জামিরুল ইসলাম বাবুর কথা হলে, তিনি জানান, আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারন করে আমার ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে চাই এবং তা চলমান রয়েছে। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য আমি কুষ্টিয়া জেলার কৃতি সন্তান, আধুনিক কুষ্টিয়া গড়ার রুপকার, আমার নেতা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কূষ্টিয়া ৩ আসনের সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ ভাইয়ের কাছে চিরঋণী৷
মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি ও রিফাইতপুর ইউনিয়নবাসীকে সেবা দেওয়ায় আমার প্রধান ব্রত৷ তিনি আরও বলেন সকল স্থরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রিফাইতপুর ইউনিয়নকে একটি দেশসেরা মডেল ও ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই
Posted ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)