শনিবার | ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

জমে উঠেছে হিলি বন্দরে মসলার বাজার

জমে উঠেছে হিলি বন্দরে মসলার বাজার

মোসলেম উদ্দিন, হিলি দিনাজপুরঃ– দুইদিন পর মুসলমান সম্প্রদায়ের পবিত্র কোরবানি ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে মসলার বেচাকেনা। আমদানি বাড়ায় কমেছে প্রতিটি মসলার দাম। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে মসলা ব্যবসায়ীদের এবং কোরবানির জন্য বেশি পরিমাণ মসলা কিনছেন ক্রেতারা।


হিলির মসলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গার্মেন্টসগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় না থাকলেও মসলা বাজারে রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বাজারে প্রতিটি মসলার দাম কমেছে। জিরা প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৬৫ টাকা, সাদা ফল ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা, এলাছ ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, দার্চিনি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা ও লবঙ্গ ৬৮০ টাকা কেজি দর। হিলি বাজারে স্থানীয়রা ছাড়াও প্রতি ঈদে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে মসলা কিনতে। আর এই জন্য ব্যবসায়ীদের বাড়ে বেচাকেনা।

মসলা কিনতে আসা রেজাউল করিমের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, এবার ঈদে কোরবানি ভাগ দিয়েছি। ঈদের দিন জামাইসহ আত্বীয় স্বজনরা বেড়াতে আসবে। তাই মাংস রান্নার জন্য সব ধরনের মসলা কিনছি। তবে এর আগে প্রতিটি মসলার দাম ছিলো আকাশ বরাবর। আজ বাজারে এসে দেখি সব মসলার দাম অনেক কমে গেছে। কম দামে পেয়ে বেশি করে কিনলাম।

হাজেরা বেগম নামের একজন মহিলা মসলা কিতে আসছে, তার সাথে কথা হয় তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ বাবা, কোরবানি দিতে পারি না। তবে কোরবানি না দিলেও এই ঈদে অনেক মাংস পাই। গরু মাংসের দাম অনেক, কিনে খাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। ঈদে সবাই মাংস দেয়, তা রান্না করার জন্য মসলা তেলের প্রয়োজন। মসলা কিনতে বাজারে আসছি। আগের চেয়ে মসলার দাম কম, তাই ৩০ থেকে ৪০ টাকার করে সব মসলা কিনলাম।


হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল সবুজ বলেন, ভাই দেখছেন তো দোকানে অনেক ক্রেতা কথা কিভাবে বলি। তারপরও বলি এবার আল্লাহর রহমতে মসলার বেচাকেনা বেশ ভাল। গত বারের চেয়ে মানুষ অনেক মসলা কিনছে। প্রতিটি মসলার দাম অনেক কমে গেছে। যে জিরা আগে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি, সেই জিরা এখন মাত্র ২৬০ থেকে ২৬৫ টাকা। কম দামে পাওয়ায় সবাই বেশি বেশি করে মসলা কিনছে।

আর একজন মসলা ব্যবসায়ী জামান বলেন, সপ্তাহ ধরে বাজারে অন্য কোন জিনিসপাতির বেচাকেনা না থাকলেও মসলার বেচাকেনা হচ্ছে। আগে সবাই অল্প ক রে মসলা কিনতো, কিন্তু এইবার দাম কম হওয়াতে সবাই বেশি করে কিনছে।


হিলি খাসমহল হাট-বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী প্রধান জানান, মসলা বাজারসহ প্রতিটি মার্কেটে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। স্থানীয় ছাড়া বিভিন্ন এলাকার লোকজন এই বাজারে কেনাকাটা করতে আসে। ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা শান্তিপর্ণ ভাবে যাতে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে সেই বিষয়ে আমরা সর্বক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।

এবিষয়ে হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারী সকল নির্দেশনা মেনে মসলা বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, আমরা বাজারে শান্তিপুর্ণ ভাবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছি। মাইকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হচ্ছে। হিলি বাজারকে পৌরকর্মী সহ আমি নজরদারিতে রেখেছি।

Facebook Comments Box

Posted ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

মোঃ শামীম আসরাফ, সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

ঝাউদিয়া বাবলু বাজার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮ ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!