অনলাইন নিউজ ডেস্ক
তীব্র অন্তর্দলীয় কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী সামলাতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করার চিন্তা হলেও আপাতত সেই ভাবনা থেকে পিছিয়ে এসেছে সরকার। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে।
প্রতীক পরিবর্তনের জন্য আইন পাস করার সুযোগ আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীকেই ভোট করতে চাচ্ছে। এখনই দলীয় প্রতীক থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন না তারা।
সূত্র মতে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে কি না- এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পক্ষে-বিপক্ষে মতামত তুলে ধরছেন কেউ কেউ। তবে দলীয় প্রতীক তুলে দিয়ে নির্দলীয় নির্বাচন করতে যে আইন পাস করা প্রয়োজন সে সময় এখন নেই।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় শুরু হতে যচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও। রমজানের আগে আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় ৩২৩ ইউপিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ওইদিন ষষ্ঠধাপে ৯ পৌরসভায় ভোট নেয়া হবে। বুধবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খন্দকার।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পবিত্র রমজান মাস। এই একমাসে ইসি কোন নির্বাচন হচ্ছে না। বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউপিতে ভোট করা যাবে। বাকিগুলো মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন আটকে আছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে নয়বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে প্রথম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালে নবম ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন হয়েছে।
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)