নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মসজিদের ঈমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ০২ আগস্ট দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভুগিরা।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার হৃদয়পুর হাজীপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম জুবায়ের কে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় শালিশি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের বেতন দিয়ে অব্যহতি দেওয়া হয়। পরে ৩১ জুলাই শুক্রবার জুমা’র নামাজের পরে কোরবানীর ঈদের জামায়াতের ইমামতি নিয়ে কথা হয়।
এসময় বহিস্কৃত ইমাম জুবায়ের এবং স্থানীয় সোহেল উত্তেজিত হয়ে কটু কথা বলতে থাকে। এবং মসজিদ থেকে রেগে বের হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় সোহেল, হিমেল ও শারিফের নেতৃত্বে ঐ দিন দুপুরে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে ওহিব উদ্দিন চুনু’র বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ীর সামনে চুনুর চাচাতো নাতি তানজিল (০৮) এর মুখে আঘাত করে জখম করে। এসময় তাদের ঠেকাতে গেলে রাজ্জাক (৪৫), নিউটন (৩৫) গুরুত্বর আহত হন।
স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকরা তানজিল ও আব্দুর রাজ্জাককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ ঘটনায় ওহিব উদ্দিন চুনু বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সোহেলকে প্রধান আসামীসহ ২০ জন আসামীর নাম উল্লেখসহ আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে। এদিকে মামলার দুই আসাসী শারিফ ও হিমেল আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
মামলায় বাঁকী আসামীরা এখনো পলাতক রয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় দুই আসামী বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। বাঁকী আসামীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে। খুব শিঘ্রই তাদের আটক করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য শারিফের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তার আটকের খবরে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
Posted ২:২৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor