আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করে দিনটি। তবে এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে দৌলতপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, এ্যাড শরীফ উদ্দীন রিমন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর ২১ আগস্ট ছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, একুশে আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হলেন হাওয়া ভবন থেকে তারেক রহমান।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান যদি খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিতেন, বিদেশি দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত না করতেন, মোশতাকের বেনিফিশিয়ারি হিসেবে প্রধান সেনাপতি না হতেন, তা হলে ইতিহাস হয়তো অন্যরকম হতো। খুন যে করে আর খুনিদের যে আশ্রয় দেয় ও পুরস্কৃত করে, তারা একই অপরাধী।তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনীতির সম্পর্ক স্থাপনে শেখ হাসিনা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে বিশেষ করে ‘৭৫-এর হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দলগুলোর মধ্যে দেয়াল সৃষ্টি করেছে। তার পরও শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ভালো থাকুক। এটি চেয়েই তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণভবনে ডেকেছিলেন, তাকে ফোন করেছিলেন গণভবনে আসার জন্য। সেদিন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী অশ্রাব্য ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন, তা আপনারা দেখেছেন এবং শুনেছেন।
১৫ আগস্টে দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নেতা কর্মী দের সাথে, উপজেলা আওয়ামীলীগের পার্টি অফিসের সামনে সকাল,৮ টায় পতাকা উত্তলন ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্প মাল্য দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর সহ তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করেন।
এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে নেতাকর্মী দের সাথে মতবিনিময় করেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এম,পি, আলহাজ্ব মোঃরেজাউল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড শরীফ উদ্দীন রিমন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাঃমোফাজ্জেল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য,মোঃআসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরী সদস্য কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ, মোঃ বুলবুল আহাম্মেদ টোকেন চৌধুরী, সভাপতি দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগ, কুষ্টিয়া,মেঃ আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগ, কুষ্টিয়া, ত্র্যাডঃনজরুল ইসলাম আইন বিষয়ক সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগ, মোঃ আক্তার হোসেন, সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগে, মোঃসেলিম চৌধুরী চেয়ারম্যান হোগল বাড়ি ইউনিয়ন, সু বক্তা মোঃ আসমত আলী মাষ্টার, ডাঃ গিয়াস উদ্দীন মাষ্টার, মোঃগোলাম জাকারিয়া জাকির, মোঃ এ,কে,এম,ফজলুল হক, চেয়ারম্যান ৩নং ফিলিপনগর ইউনিয়ন, মোঃ মামুন কবিরাজ,বাংলাদেশ কৃষক লীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখা র বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক, হাজী মোঃ আসলাম আলী সাবেক সহ সভাপতি মরিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ত্র্যাডঃ মির্জা আলম রিগান সবেক কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ,মোসাঃমারুফা ইয়াসমিন সুরভি, ত্র্যাডঃ আয়শা, মোঃ জুলফিকার আলী সুমন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া, মোঃ ওয়ালিউল আল শাওন সাবেক কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ, সহ দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
Posted ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১
protidinerkushtia.com | editor