বুধবার | ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

দৌলতপুরে মানিকের বিয়ের কাবিনের সাক্ষর জাহাঙ্গীরের

আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুর

দৌলতপুরে মানিকের বিয়ের কাবিনের সাক্ষর জাহাঙ্গীরের

দৌলতপুরে মানিকের বিয়ের কাবিনের সাক্ষর জাহাঙ্গীরের


কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের, ফিলিপনগর কেরানিপাড়া গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে মানিক উজ্জামান এর আপন মামাতো বোন ২ সন্তানের জনোনি আদরীর সাথে গত ২৩/১/২০২৩ ইংরেজি তারিখ বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেন আদরী ও মানিকের মা টিয়ায়ারা।

বিষয়টি মানিক উজ্জামান জানতে পারেন তার সাথে নাকি আদরীর বিয়ে হয়ছে তখন তিনি মাদ্রাসায় থেকে বাড়িতে না গিয়ে বোনের বাসায় পালিয়ে যায় । মানিক উজ্জামান বিয়ে না করেও যখন বর হয়ে যান ঠিক তখন নিজে বাঁচার জন্য প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলে ছুটে বেড়ান।

এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন মানিক উজ্জামান। ৭১ বাংলা টিভি, চ্যানেল এস টিভি সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজটি ফলাও আকারে প্রকাশিত হলে নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। তদন্ত শুরু হয়। হঠাৎ মানিক উজ্জামান এর মা টিয়া আরা অভিযোগ করেন কাবিনের সাক্ষর মানিকের না সাক্ষরকারী জাহাঙ্গীর।


এ বিষয়ে টিয়ায়ারা বলেন, গত ২৩/১/২০২৩ ইংরেজি তারিখে পিয়ারপুর ইউনিয়ন কাজি আবুল কালামের কাছে জাহাঙ্গীর ও আদরীর বিয়ে হবে বলে আমাকে কাজির কাছে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে কাজী আমাকে বিয়ের সাক্ষী করেন এবং আমাকে দিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পের স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আমি জানি যে তখন জাহাঙ্গীর এবং আদরের বিয়ে হচ্ছে। দুই থেকে তিন দিন পরে শুনছি যে জাহাঙ্গীর না কাবিনে স্বাক্ষরের যায়গাতে জাহাঙ্গীর মানিকের নাম লিখেছে। জাহাঙ্গীর এবং আদরী আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এবং বলতে বলেন যে মানিক বিয়ে করেছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে মিডিয়ার সামনে বলেছি কাবিনের স্বাক্ষর মানিকের। বিষয়টি আমি সুস্থ তদন্ত করে , মানিককে যারা ফাঁসাতে চেষ্টা করেছে তাদের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে মানিক উজ্জামান দাবি করেন, সাংবাদিকদ ও দৌলতপুর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ের রহস্য উন্মোচন হলেও পাবিনে তো আমার নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই কাবিন ব্যবহার করে তারা যেন আমার বিরুদ্ধে কোন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না করতে পারে তার জন্য প্রশাসনে হস্তক্ষে কামনা করছি।


এ বিষয়ে বিয়ের এর কাবিনে স্বাক্ষর কারী সাক্ষী জয় ভোগা গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে বিজয় আহমেদ বাঁধন বলেন, আমি এ বিষয়ে তো কিছু জানি না আমার দোকান থেকে কাজীর কাজী অফিসে ঘুরতে গিয়েছিলাম কাজী আবুল কালাম বললেন যে এখানে একটি স্বাক্ষর করো। কাজী কে বললাম কেন স্বাক্ষর করব আমি তো , তখন তিনি বললেন একটা স্বাক্ষর করো সমস্যা নাই কোন। আমি স্বাক্ষর করেছি। তবে আমি কাউকে বিয়ে করতে দেখি নাই।

বিষয়ে মানিকের নামের নকল স্বাক্ষরকারী জাহাঙ্গীর বলেন, মানিকুজ্জামান মায়ের কথা মতো আমি কাবিনে মানিকের নাম নিজে স্বাক্ষর করেছি তারা আমাকে এক হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করেছিলেন।

এ বিষয়ে আদরী বলেন, দর্গা বাজারে কালাম কাজীর কাছে বিয়ের সময় মানিক ছিলনা। জাহাঙ্গীর নিজে মানিকের সাক্ষারটি করেছে।

এ বিষয়ে পিয়ারপুর ইউনিয়ন কাজী আবুল কালাম ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে চাই নাই।

দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক ও থানায় বিষয়টি লিখিত অভিযোগ করেছে মানিকের মা । এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook Comments Box

Posted ১২:৩৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

মোঃ শামীম আসরাফ, সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

ঝাউদিয়া বাবলু বাজার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮ ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!