বুধবার | ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

দৌলতপুরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকার হাট মাত্র বিশ হাজার টাকায় বিক্রি।

আলী আসিবুজ্জামান চনচল

দৌলতপুরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকার হাট মাত্র বিশ হাজার টাকায় বিক্রি।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খাস মথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ২ দিনের হাট ও ফলজ গাছ সহ বিদ্যালয়ের ধানী জমি ও মাছের পুকর যা উক্ত বিদ্যালয়ের নিয়মঅনুযায়ী প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষে নিলামের মাধ্যমে নিজ দেওয়ার নিয়ম খাতা কলমে থাকলেও বাস্তবে তার ছিটেফোঁটা ও নেই।


জানা যায়, খাস মথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ২ দিন বিকালের হাট ও ফলজ গাছ ১৪২৮( বঙ্গাব্দ) ১ বছরের জন্য কোন নিলাম ছাড়ায় ১৩/০৪/২০২১ (মঙ্গলবার) দুপুর ২টাই এলাকার কিছু ব্যাক্তি দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি রেজুলেশন তৈরি করে ও ম্যানিজিং কমিটিকে প্রভাবিত করে একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোক দেখানো নিলামে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের মধ্যেই স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট তাদের ইচ্ছামত এবং নিজেদের লোকদের মাত্র ২০,০০০ হাজার টাকায় ১ বছরের চুক্তিতে বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক হাট লিজের দফারফা করেন। তাই নয় বিদ্যালয়ে নারিকেল গাছ, কাঠাল গাছ,এবং আম গাছ দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক ফলজ গাছ থাকলেও সেগুলোও দূর্ণীতির মাধ্যমে মাত্র ১,৫০০ টাকায় দফারফা নিলামের অভিযোগ বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক ও এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ের ৩ বিঘা(৯৯ শতক) ধানী জমি যা বাইরে কৃষকদের কাছে চলমান সময়ে ১ বছরের জন্য লিজ সর্বনিম্ন ২৫০০০ টাকা হলেও সেটিও বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক ও এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাত্র ১২,০০০ হাজার টাকায় দফারফা নিলামে ১ বছরের জন্য লিজ দিয়েছেন। এ নিয়ে চিন্তিত সচেতন মহল।

সম্প্রতি ভেড়ামারা সাতবাড়ীয়ায় ও একটি সিন্ডিকেট ম্যানিজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দৈনিক হাট ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা করলেও সেটি স্থানীয় কিছু প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশের পর ৭ দিনের মাথায় আবার নতুন করে নিলামে একই হাট পূর্বের চেয়ে ৫ গুন ২ লক্ষ ৬১ হাজার টাকায় নিলাম হয়। সচেতন মহল চাই ঠিক এভাবেই আবার উন্মুক্ত ভাবে ও প্রকাশ্যে নিলাম হয়ে খাস মথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও তার নেজ্য নিলামের দর পাক এবং এই সিন্ডিকেটের হাতে থেকে রক্ষা পাক এই প্রতিস্ঠান।

যেখানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সম্পদ গুলোর মাধ্যমে প্রতিবছর একটা মোটা অংকের টাকা বিদ্যালয় কোষাগারে জমা হয় ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন হওয়ার কথা সেখানে নাম মাত্র লোক দেখানো নিলামের মাধ্যমে বিদ্যালয় প্রতিবছরই হারাচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
তবে এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক আব্দুর রশিদের সাথে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টায় তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাই প্রতিবেদক।


Facebook Comments Box


Posted ৩:১২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

মোঃ শামীম আসরাফ, সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

ঝাউদিয়া বাবলু বাজার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮ ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!