দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড লক্ষীখোলা গ্রাম। গ্রামে প্রায় ১৫’শত মানুষের বসবাস। ওই ৮ নং ওয়ার্ডের সোনাইকান্দী মোড় থেকে লক্ষীখোলার জোয়ার্দ্দার পর্যন্ত ৮২০ মিটার রাস্তায় গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
আশপাশের সব রাস্তা পাকা হলেও এ রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকবাসী।
ক্ষুব্ধ হয়ে রাজিব আহম্মেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি এই রাস্তাটি করে না দিলে দৌলতপুর উপজেলা থেকে আমাদেরকে বের করে দেওয়া হোক।
বিল্লাল হোসেন জানান, খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চারা কাদামাটি মেখে স্কুলে আসছে। অনেক গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেই আসতে পারেনা। রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান তিনি।
এ রাস্তাটিই এ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সীমা থাকে না। এ রাস্তায় চলাচলের বাধা একটাই- এর বেহাল দশা। রাস্তাটি পাকা হলে এ এলাকার ১৫’শত মানুষের কষ্ট দূর হবে। শিক্ষার্থীদের এবং এ অঞ্চলের মানুষের দিকে তাকিয়ে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
Posted ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor