নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসার ড. মো: মাহবুবুর রহমান তালুকদার অসুস্থ্যতার অযুহাত দেখিয়ে নিয়মিত অফিসে না আসা বা ইচ্ছামতো সময়ে অফিসে আসা সহ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে জোঁড়াতালি দিয়ে চলছে কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিস।
সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও সেবা না পাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়িত। নানা অযুহাতে কালক্ষেপন ও অনিয়মই হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসের মূলনীতি। বার বার অফিসে গিয়েও মেলেনা দেখা কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসারের, দেখা মেলে শুধু দরজায় ঝোঁলানো তালা। ক্ষোভ থাকলেও ক্ষ্যান্ত সবাই, কারন তিনি বড়কর্তা।
করেন না কাউকে তোয়াক্কা, তাই জেলা প্রশাসকের তদন্তের নির্দেশও করেছেন অবজ্ঞা। ঘটেছে এমনও ঘটনা কুষ্টিয়ার ইবি থানার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর মরানদীর জলমহল ইজারা দেওয়ার বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসারের আপত্তির প্রেক্ষিতে ইজারা আবেদনকারী সমিতির সদস্যরা সবাই প্রকৃত মৎস্যজীবি কি না? জানতে তদন্ত কমিটি করে জেলা প্রশাসক।
এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা মৎস্য অফিসার ড. মো: মাহবুবুর রহমান তালুকদারকে। দীর্ঘদিনেও শেষ হয় না তদন্ত। দাঁড় করান করোনা ও অসুস্থ্যতার অযুহাত। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বারের মত তদন্তের নোটিশ করা হয় তাকে। তবুও শেষ হয় না তদন্ত। সর্বশেষ গত ২৪শে জুলাই ২০২০ইং তারিখে ৩য় বারের মত জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সেই তদন্ত সম্পূর্ণ হলেও তদন্তের মাঠে উপস্থিত ছিলেন না কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিসার ড. মো: মাহবুবুর রহমান তালুকদার। তার স্থলে পাঠিয়েছিলেন উপজেলা মৎস্য অফিসারকে। এভাবেই দায়সারা কাজ ও অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই নানা অনিয়মে চলছে কুষ্টিয়া জেলা মৎস্য অফিস।
Posted ২:৪৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor