নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী না হয়েও নিজেকে কাজী দাবি করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে বিবাহ ও তালাক দেওয়ার মত কাজ চালিয়ে আসছেন ভূয়া কাজী শরিফুল ইসলাম হেলালী।
নিয়োগপ্রাপ্ত কাজীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাল্যবিবাহ থেকে বিরত থাকলেও এই ভূয়া কাজী অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে থাকেন। শুধু তাই নয়, নিজের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়েতেও ভূয়া কাবিননামা বানিয়েছেন এই ভূয়া কাজী
ভূয়া কাজী শরিফুল ইসলাম হেলালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ধর্মপাড়া গ্রামের মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে ও ভালুকা শহীদ শেখ সদর উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এবং চাপড়া জামে মসজিদের ইমাম।
এমন ভূয়া কাজীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন চাপড়া ইউনিয়নের রেজিস্টার কাজী তৌহিদুল ইসলাম তুহিন ও যদুবয়বা ইউনিয়নের কাজী রেজাউল করিম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে অভিযোগের কথা স্বীকার করে ভূয়া কাজী শরিফুল ইসলাম হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে রেজিস্টার করে আসছি। আমার ভুল হয়েছে। আমি আর এমন কাজ করব না। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ের বিয়েতেও ভূয়া কাবিননামা তৈরি করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, রেজিস্টার প্রাপ্ত কাজীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করে কিন্তু হাতেনাতে ধরতে না পাড়ায় এধরনের কাজ আর করবে না, এই মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিনের হওয়ায় অধিক্তর তদন্তের বিষয়। তাই আসল কাজীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Posted ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
protidinerkushtia.com | editor