মোঃ সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়া :- কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১ শত ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এবারে উপজেলায় পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ শত ৫০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। সূত্র আরো জানায় জানায়, পাটপণ্যের দ্বিগুণ রপ্তানি বৃদ্ধি, পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলকসহ ব্যবহারে বহুমাত্রিকতায় এবার পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। এবারে কুমারখালী উপজেলায় তোঁশা, জে আর ২৪৯০ জাতের পাট আবাদ হয়েছে বেশি। পাশাপাশি দেশি ও৯৮, ও৯৭ জাতের পাটের আবাদও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, শ্রাবনের ঝরা বৃষ্টির পানিতে এসব পাট পচিয়ে আগে ভাগে ঘরে তুলতে চায় কৃষকরা। এজন্য পাট কেটে জাগ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাজারো কৃষক। তবে উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজার মূল্যের অসমতার কারণে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। গত দুই বছর আগেও সোনালি আঁশের ফলন ও দাম দুটোই ছিল কাঙ্খিত। পাটের সুদিন ফিরলো বলে আশায় বুক বেঁধেছিল চাষিরা। তবে গত বছর বাজারে দাম ভাল থাকায় সোনালি আঁশ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন এবারো চাষীরা।
কয়েকটি গ্রামের পাটচাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আষাঢ়ে বৃষ্টির দেখা না পেলেও শ্রাবনে বৃষ্টি পেয়ে পাট জাগ দিতে সুবিধা হচ্ছে। সবাই এখন পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য খালে-বিলে জমা হচ্ছে। তাই তাড়াতাড়ি করে পাট কাটা শুরু করেছেন। কৃষকরা আরো জানায়, পাট কেটে এই জমিতেই আমন ধান রোপণ করা হবে। আবহাওয়া ভালো থাকায় পাট গাছ বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে পাটের দাম ভালো হলে এ বছর একটু লাভের মুখ দেখবেন এসব কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, এ বছর পাটের রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। এবার পাটের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন তিনি। বাজার ভালো থাকলে আগামীতে আবারো বেশি আবাদ হবে।
Posted ৩:১৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
protidinerkushtia.com | editor