কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর ইউনিয়নের বৃহৎ একটি অংশজুড়ে বয়ে গেছে সর্বনাশা পদ্মা নদী,
আর এই পদ্মাপাড় এলাকায় বসবাস করা হাজার হাজার মানুষ ঘর বাড়ি জমি জমা সহ আনেক কিছু হারিয়েছে পদ্মার ভয়াবহ তান্ডবে।
এসকল তান্ডবের কারণে পদ্মা পাড়ের মানুষ গুলোর জীবন জীবীকা ঘর বাড়ি রক্ষার উদেশ্য দেওয়া হয় সরকারি ভাবে মেগা প্রজেক্ট। বাধটির প্রায় তিন কিঃমি নির্মাণের জন্য ব্যায় হয় একশ বার কোটি টাকা
আর সেই প্রজেক্টের মাধ্যমে পদ্মা পাড়ে নির্মাণ করা হয় ব্লকের বাধ।
যার ফলে ঐ এলাকার মানুষ গুলো কোন প্রকার ভাঙ্গন আতঙ্ক ছাড়াই জীবন যাপন করছে ।
কিন্তুু তাতেও শান্তি নেই, কতিপয় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কিছু লোকের মাধ্যমে চলছে ব্লকের পাশ ঘেঁষে বালি উত্তলন, মাটি কাটা সহ নানা ধরনের কাজ।
এমন অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালি উত্তলন করার কথা জানতে পেরে প্রতিবেদক সেখানে উপস্থিত হয়ে তার সত্যতার প্রমাণ মেলে, দেখা যায় কিছু লোকজন রক্ষাবাধের ব্লকের নিচ থেকে মাটি কেটে ট্রলি বোঝাই করছে।
প্রতিবেদক তাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে যে কে এই মাটি কাটার নির্দেশ দিয়েছে?
উত্তরে উপস্থিত মাটি কাটা কাজে লিপ্ত থাকা লোকজন জানায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশই তারা ব্লকের নিচ থেকে মাটি কাটাছে, এবং এই মাটি স্কুলের খেলার মাঠ সংস্করণ কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে এর বাহিরে তারা আর কিছুই জানেনা বলে জানান।
এমব অবস্থায় এলাকার কিছু লোকজন নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে প্রতিবেদককে জানান, দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্যর মাধ্যমে বরাদ্দের ২ লক্ষর উপরে কিছু টাকা স্কুলটির খেলার মাঠ সংস্করন বাবদ দেওয়া হয়।
আর সেই টাকা নয় ছয় করার উদেশ্যই এমন কান্ড ঘটিয়েছে প্রধান শিক্ষক ও এলাকার কিছু লোকজন।
আর তার পরিপেক্ষিতে ব্লকের নিচের মাটি কেটে খেলার মাঠে দেওয়া হয়।
আর তাতে করে টাকাও বাচলো মাঠও সংস্কার করা হলো।
কিন্তুু এই গুটি কয়েক ব্যাক্তির লোভের করনে হুমকির মুখে পড়ছে নদী পাড়ে বসবাসকারী সমস্ত মানুষ।
আর তাতে করে আবারও সংকায় পড়ছে এলাকার লোকজন কখন জানি এই অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তলন করার কারণে পুনরায় ফিরে আসে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন।
আবারও ফিরে আসবে সেই দুর্দিন।
এলাকাবাসীর দ্বাবি অনতিবিলম্ব এইধরনের অবৈধ কাজকর্মের মুল হোতাদের আইনের আওতায় আনা, পদ্মা পাড়ের মানুষ গুলোকে ও পদ্মা পাড় রক্ষার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এব্যাপারে ফিলিপ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় এবং তার মুঠো ফোনে কল দেওয়া হয়। কিন্তুু সে কল রিসিভ করেনি।
পরবর্তীতে প্রতিবেদক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন আক্তারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম যতদ্রুত সম্ভব আমরা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
Posted ৪:১৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
protidinerkushtia.com | editor