নিজশ্ব প্রতিনিধী
প্রেমের টানে মিশরের মেয়ে ডালিয়া এখন নোয়াখালীর বধূ
চাকরি নিয়ে মিসরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণ গোলাম সারোয়ার (২৬)। সেখান তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় মিসরীয় তরুণী ডালিয়ার (২৬)। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয় দুজনের। ২০২০ সালে মিসরে বিয়ে করেন এই জুটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন মিসরীয় তরুণী।
২০১৭ সালে প্রেম, অনেক কাঠখড়ি পুড়িয়ে ২০২০ সালে পারিবারিক সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হয়।
সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গোলাম মাওলার ছেলে গোলাম সারোয়ার বাবু।গতকাল সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রী ডালিয়াকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর বিদেশি বধূকে দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে বাংলাদেশে, এরপর শেষ রাতে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে স্বামী গোলাম সারোয়ার বাবু বাড়িতে পৌঁছে ডালিয়া।
পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় চাচার মাধ্যমে ২০১২ সালে মিশরে পাড়ি জমান গোলাম সারোয়ার বাবু। সেখানে আলেকজেন্ডারিয়া এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন তিনি। কর্মরত অবস্থায় তিনি ডালিয়াদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তারই সুবাদে প্রথমে ডালিয়ার ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বাবুর। ফলে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত বাড়ে বাবুর। একপর্যায়ে ডালিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গোলাম সারোয়ার বাবু ও তার পরিবার জানান।
২০১৮ সালে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি ডালিয়ার পরিবারকে জানালে প্রথমে তারা রাজি হয়নি। কিন্তু বাবু-ডালিয়ার গভীর প্রেমের সম্পর্কের কাছে হার মানে ডালিয়ার পরিবার। পরে ওই দেশীয় সামাজিক রীতি মেনে ২০১৯ সালে আংটি বদল হয়। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারিতে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে উভয়ের কোল জুড়ে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু কিছুদিন পর ওই সন্তান মারা যান।
ডালিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও বিয়ের পর এই প্রথম দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা। তবে দেশে থাকবেন দুই মাস। এর পর তারা মিশরে চলে যাবেন। বিদেশী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে খুঁশি শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরাও বলে জানান গোলাম সারোয়ার বাবু ।
ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশি খাবার ও পরিবেশ তাঁর ভালো লেগেছে। দুই মাসের জন্য এসেছেন তাঁরা। এরপর আবার মিসরে ফিরে যাবেন। গোলাম সারোয়ারের বাবা গোলাম মাওলা বলেন, ছেলের বউ বেড়াতে আসায় পরিবারের সবাই আনন্দিত। পুত্রবধূ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তবে তাঁদের ছেলে এ ক্ষেত্রে দোভাষীর কাজ করেন।
সেনবাগে মিশরী নারী স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে এসেছে এমন খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে বহু মানুষ ভিড় করছে। এমন খবরে থানা পুলিশও সে বাড়িতে গিয়েছে। যাতে করে কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে তার পুলিশ সব সময় খেয়াল রাখছে বলে জানান সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
Posted ৭:৩৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
protidinerkushtia.com | editor