সোমবার | ৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অবিনশ্বর: মৃত্যূঞ্জয়ী একটি নাম প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম মনি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অবিনশ্বর: মৃত্যূঞ্জয়ী একটি নাম প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম মনি

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শাহাদাত বার্ষিকী আজ। ৪৫ বছর পূর্বে ১৫ আগস্টের কালো রাতে কতিপয় কুলাঙ্গার,উচ্চাভিলাসী কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।


আজকের দিনটি বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখের,বেদনার ও কলঙ্কের অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আজন্ম সংগ্রামী নেতা। আমৃত্যু তিনি মা-মাটি-মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

সুদীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম এবং একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের নের্তৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করার পর কেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়, এর সঠিক ইতিহাস আজও অনেকে জানে না।

কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যে সকল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী যে সকল শাসকগোষ্ঠী এ দেশ শাসন করেছে তারা এদেশের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেছেন। মনগড়া ইতিহাস প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। তাই এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরূণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা। তৎকালীন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল কারন কেন তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।


তিনি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান ভেঙ্গে কেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম দিলেন, কেন তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের লেজুড়বৃত্তি পরিহার করে জোট নিরপেক্ষ ও স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন, কিভাবে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির দূত হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, কেন তিনি ধনিক-বণিক এবং তাদের আন্তর্জাতিক গোষ্ঠির পক্ষালম্বন না করে বাংলার কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের পক্ষালম্বন করেন – তা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।

তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। কেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে। কেন তিনি বাংলাদেশ কে একটি সোনার দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। কেন চেয়েছিলেন মাঠে মাঠে থাকবে সবুজ ফসলের সমারোহ। কৃষকের মুখে থাকবে হাসি এই ছিল তাঁর স্বপ্ন,এই ছিল তাঁর সংগ্রাম।
কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় ঘৃণিত নরপশুরা তাকে হত্যা করে। হত্যাকারীরা ষড়যন্ত্র করেছিল এই ভাবনায় যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা এদেশের স্বাধীনতা কে হত্যা করতে পারবে,গণতন্ত্রকে হত্যা করতে পারবে। কিন্তু তারা বাঙালি জাতীয়তাবোধ,ভাষা,সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে হত্যা করতে পারে নি। বাংলাদেশকে নের্তৃত্বহীন করতে পারে নি। শত চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে পারেনি ।


তাঁর আদর্শকে বিলীন করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু অবিনশ্বর।বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতি ঘরে,প্রতি হৃদয়ে আছেন। সারা বাংলার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধু,বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার আকাশ,বাতাস, নদী, পথে-প্রান্তরে,তিনি মিশে আছেন, তিনি থাকবেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সূযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এঁর নের্তৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার। আমরা সেই শক্তি বুকে ধারণ করে বিশ্ব দরবারে গেয়ে যাব জয বাংলার গান।শোকের এই দিনে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।

Facebook Comments Box

Posted ২:২০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

মোঃ শামীম আসরাফ, সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

ঝাউদিয়া বাবলু বাজার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮ ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!