সোমবার | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

বেনাপোল কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দালালমুক্ত ও যাত্রী সেবা দ্বিগুন।

তামিম হোসেন যশোর বেনাপোল প্রতিনিধি।

বেনাপোল কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দালালমুক্ত ও যাত্রী সেবা দ্বিগুন।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর অবশেষে বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমস ও পুলিশ ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করা হলো। ১ ডিসেম্বর থেকে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিস। ফলে পাসপোর্ট ছাড়া কনো ব্যক্তিকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।


বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার (মো:আজিজুল ইসলাম) সাহসী প্রদক্ষেপের কারণে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এখন দালালমুক্ত। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪/৫ হাজার যাওয়া আসা করতো, কিন্তু করনোর কারনে একটু কম হলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত-বাংলাদেশ ভালোভাবে যাতায়াত করেছে।

গোটা কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা, বহির্গমন ও আগমনের জন্য যাত্রীদের পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে স্টিলের মনোরম রেলিং দিয়ে। টার্মিনালের প্রধান ফটকে বন্দরের নিরাপওা কর্মী, আনসার সদস্য ও কাস্টমস অফিসারদের সার্বক্ষনিক নজরদারি বৃদ্ধি করায় প্রবেশ করতে পারছে না পাসপোর্ট দালালেরা। চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন বেনাপোল দিয়ে তিন-চার হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাতায়াত করছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার মান বৃদ্ধি করায় যাত্রীরা দ্রুত ও সুশৃঙ্খলভাবে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস এর সুপার,(আলমগীর হোসেন) বলেন, দির্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে এক শ্রেণির লোক দূরদূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। তাদের পাসপোর্ট সিরিয়াল ছাড়া দ্রুত করে দেয়ার নাম করে টাকাা হাতিয়ে নিচ্ছিল। বিষয়টি পাসপোর্ট যাত্রীরা কাস্টমস কমিশনার আজিজুল ইসলামকে অভিযোগ করলে তিনি কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করার ঘোষণা দেন। এছাড়া ইনেসপিক্টর,মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল রহিম রতন বলেন,, যাত্রীদের সেবার মান উন্নত করতে চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বহিরাগত দালাল উৎখাতে, টার্মিনাল এলাকায় বহিরাগত কোনো দালাল ঢুকতে না পারে সে জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে। দালালদের কাছে পাসপোর্ট না দেয়ার জন্য মাইকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।


বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন’র ওসি, (মহাসিন) ইসলাম জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে কোনো প্রকার পাসপোর্টযাত্রী হয়রানি যাতে না হয় সে জন্য দালালমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ঝামেলামুক্তভাবে যাত্রীরা যাতে ভারত যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। দালাল ও বহিরাগতরা যাতে ইমিগ্রেশনে ঢুকতে না পরে সেজন্য প্রবেশ মুখেই কঠোরভাবে নিরাপওা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনার, (মুরাদ হোসেন) নামে ভারতগামী একজন পাসপোর্ট যাত্রী জানান, বাংলাদেশ কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দ্রুত পাসপোর্ট সীল মেরে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিলেও । বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে ভারতের কাস্টমস কাউন্টারে জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অবৈধ অর্থ।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনকে দালাল মুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হযেছে। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে যাত্রীরা ভারত গমনাগমন করছে।

Facebook Comments Box


Posted ৪:১১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

মোঃ শামীম আসরাফ, সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

ঝাউদিয়া বাবলু বাজার, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮ ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!