করোনা পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কিছু শর্ত দিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকালে শর্তের বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের (ওসি) মহাসিন খান।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী, যারা বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ব্যবসা, চিকিৎসা বা ভ্রমণে ভারত যেতে চায় তাদের প্রথমত ভারত প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারতীয় হাই-কমিশনারের অনুমতিপত্র থাকতে হবে। থাকতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এছাড়া প্রয়োজন হবে ২০২০ সালের ১ জুলাইয়ের পর ইস্যুকৃত ভিসা।
ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বাংলাদেশ আগমনের ক্ষেত্রে লাগবে হালনাগাদ ভিসা ও পাসপোর্ট। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দরকার হবে।
এছাড়া ভারতীয় যাত্রী যারা বাংলাদেশে আটকে আছেন তাদের স্বদেশ ফিরতে প্রয়োজন হবে মেয়াদ থাকা পাসপোর্ট ও নবায়ন করা ভিসা (জরিমানা ব্যতীত ভিসা ও ফি প্রদান পূর্বক)। ভারতীয় হাইকমিশনারের অনুমতিপত্র এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট।
জানা যায়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রতিরোধে দুই দেশের সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে ভারত সরকারের নেয়া পদক্ষেপে গত ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারত প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার তাদের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ২২ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের রেল ও স্থল পথে ভারত সরকার আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এ পথে রেল ও স্থল পথে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সচল হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। এখন শর্ত সাপেক্ষে চালু হলো যাত্রীদের যাওয়া-আসা।
বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ওসি মহাসিন খান জানান, বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণ, ভারতীয়দের বাংলাদেশ ভ্রমণ বা বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে তারা যাতায়াত করতে পারবেন।
Posted ৬:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | faroque