কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
মানুষের সাথে শিয়াল পণ্ডিতের বন্ধুত্ব। তাও আবার লোকালয়ে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। কুষ্টিয়া শহরের থানা পাড়ায় একজন বন্যপ্রাণী প্রেমী রাতে সখ্য গড়ে তুলেছেন শিয়ালদের সঙ্গে। তাদের দেখভালের পাশাপাশি খাবারও সরবরাহ করেন তিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হয় ওয়ার্ডে।
কুষ্টিয়া শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ড। রাত বাড়তে থাকলেই নির্জন এলাকায় যেন ব্যস্ততা বেড়ে যায় বন্যপ্রাণী শিয়ালদের। ঝোপঝাড় থেকে বেরিয়ে আসে লোকালয়ে। ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন মিলনের থানা পাড়ার বাড়ির পাশে ১৫ থেকে ২৫টি শিয়াল জড়ো হয়। অপেক্ষা তাদের মনিবের।
রাতে ব্যস্ত শহরের সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখন দোকান থেকে খাবার কিনে বাড়ির সামনে আসেন মিলন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেরু ,ভলবো, রাহাজানি, রঙ্গিলা, কাঞ্চি, জেরিসাসহ নানা ধরনের নাম ধরে ডাকতেই লাইন ধরে জঙ্গলের ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসে শিয়ালের দল। সেরু আর রাহাজানির দলকে দুই ভাগে ভাগ করে রাত তিনটা পর্যন্ত খাবার দেন। এতো রাতেও শহরের সব বয়সী মানুষ দেখতে আসেন মিলনের সাথে শিয়ালের বন্ধুত্ব।
বন্যপ্রাণী প্রেমী মিলন জানান, যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন অটুট থাকবে তাদের প্রতি ভালবাসা।
আরও পড়ুন: ‘শুধু পুনর্বাসন নয়, টোলেরও ভাগ পাবেন পদ্মা সেতুতে ক্ষতিগ্রস্তরা’
স্থানীয় একজন বলেন, এখানে অনেক শিয়াল, মেছো বাঘ, কুকুর রয়েছে। রাত বাড়লেই এরা খাবারের জন্য এদিকে ও ওদিকে ছুটে বেড়ায়। তখন এদের যে খাবার যে দেয়, তার কথাই এরা শুনে।
এদিকে, বন্য প্রাণী রক্ষায় নিয়মিত মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার মাজেদুল হক। তিনি আরও জানান, অনেকেই না বুঝেই বন্যপ্রাণীদের অত্যাচার করে। তাদের আমি সতর্ক করে দিয়েছে। এছাড়া, প্রাণীদের অত্যাচার করলে বন্যপ্রাণী আইনের সাজা হতে পারে বলেও সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি।
সভ্যতার অগ্রগতিতে যখন বন্যপ্রাণীরা অস্তিত্ব সংকটে, তখন তখন ধূর্ত শিয়ালের সাথে মানুষের এমন বন্ধুত্ব বিস্ময়কর ঘটনাই
Posted ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)