দৌলতপুর প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,। অফিস সময়ের পার হলেও দেখা মেলেনা কর্মকর্তাদের।
গত রবিবার সকাল ১১টার সময় “যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর” এর অফিসে গিয়ে দেখা যায় ১ জন লোক (মো: মোশারফ হোসেন, পদবি : এমএলএসএস) ছাড়া আর কেউই আসেনি অফিসে। দপ্তরটিতে মোট ৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকলেও পাওয়া যায়নি তাদের কাউকে। তারা কোথায় আছে? মোশাররফ হোসেনের কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন, তারা ৪ জনই এখন অফিসে আসেনি।
সকাল ৯ টা থেকে অফিসের সময় শুরু হলেও প্রধান কর্মকর্তা সহ ৩ জন ক্রেডিট সুপারভাইজার, ১ জন কোষাধ্যক্ষ , ১১ টার সময়ও তাদের অফিসে পাওয়া যায় নি। এমন ইচ্ছা মত অফিস করায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দৌলতপুর উপজেলাবাসী।
আয়তনেও দেশের বৃহত্তম উপজেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম এ দৌলতপুর উপজেলা।প্রায় ৮ লাখ জনসংখ্যার রয়েছে এখানে। দৌলতপুর উপজেলার হাজার হাজার বেকার যুবকের একমাত্র ভরসার ঠিকানা “দৌলতপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ” কিন্তু ভরসা করার ঠিকানা থাকলেও ভরসার কথা বলার মানুষ পাওয়া যায় না সেখানে।
শিক্ষিত, বেকার যুবকদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে অসংখ্য বেকার যুবদের স্বাবলম্বী করতে পারে এই দপ্তরটি কিন্তু সে গুড়ে বালি।
দপ্তরটির কর্মরত একজন বলেন, এই দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা এক সাথে দুই ( দৌলতপুর – ভেড়ামারা) উপজেলার দায়িত্ব পালন করে যার ফলে তিনি সপ্তাহ ১-২ দিন দৌলতপুর উপজেলায় অফিস করে আর বাকি ৪ দিন তিনি ভেড়ামারা উপজেলায় অফিস করেন।
দেশের বৃহত্তম উপজেলা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলেও উপজেলার এই দপ্তর টিতে প্রধান কর্মকর্তার অফিস করেন সপ্তাহে মাত্র ১থেকে ২ দিন।
এভাবে অফিস করার কারণে প্রতিদিনই ঘুরে যাচ্ছে এখানে সেবা নিতে আসা বেকার যুবকরা এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্ধ স্থানীয় ও উপজেলা বাসী।
সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, করোনাভাইরাস এর কারণে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশ্ব। বাংলাদেশও এর প্রভাব ব্যাপক হারে চাকরী হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। তাই, আমি এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজে কিছু করতে চাই। কিন্তু এসে দেখি অফিস খুলে ১ জন বসে আছে।
এসকল বিষয় নিয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের প্রধান মোঃ শাহজাহান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এখানকার নিয়মিত স্টাফ নই আমি সপ্তাহে দুই দিন অফিস করি এবং চার দিন ভেড়ামারার অফিস করি।
বাকি কর্মকর্তাদের অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানে কোন স্টাফ কোন প্রকার নিয়ম মানে না তাদেরকে নিয়মের আওতায় আনার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এমত অবস্থায় আমি আমার জেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
Posted ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)