মেজর গাফ্ফারুজ্জামান এর দক্ষ পরিচালনায় কুষ্টিয়া বাসীর আস্থা বিশ্বাস ও ভালোবাসা কেন্দ্রবিন্দুতে র্যাব১২।
দেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল কার্যক্রম শুরু মধ্য দিয়ে আজ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ এ ১৬ বছরে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলা ও খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জঙ্গি দমনে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সামনে দিনগুলোতে আরও বেশি সফলতা ও এলিট ফোর্স হিসেবে অর্জিত স্বকীয়তা ধরে রাখা এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থার প্রতিদান দেয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
জঙ্গি দমন ছাড়াও নাশকতা প্রতিরোধসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে পুলিশের এ সংস্থাটি। মানব পাচাররোধ, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী ভূমিকা পালনে র্যাব ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মনেও আস্থার প্রতীক হিসেবে পরিণত হয়েছে।
ঠিক তেমনি মেজর গাফ্ফারুজ্জামান
কোম্পানি কমান্ডার Rab 12, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া পরিনত হয়েছেন কুষ্টিয়া বাসীর আস্হা বিশ্বাস ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু।
আমাদের দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার খুলনা বিভাগের বিশেষ প্রতিনিধি মোহাঃ শাহ আলম রেজা সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারের সময় মেজর গাফ্ফারুজ্জামান
জানান তিনি এবং তার কোম্পানির সদস্যগন নিরলস ভাবে কুষ্টিয়ার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই পরিপেক্ষিত বিগত তিন (০৩) মাসের অভিযানে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মার্চ ১০ ২০২১ পর্যন্ত নানান ধরনের প্রায় ১০০ টি অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময়ের মধ্যে সন্ত্রাস বিরুদ্ধী সর্বমোট অস্ত্র ০৫ টি, ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
মাদকের নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে র্যাব কুষ্টিয়া এসময়ের মধ্যে ইয়াবা ৫০৭৯ পিস, হেরোইন ১৯৮ গ্রাম, গাঁজা ২১.১৮ কেজি, ফেন্সিডিল ১২৯০ বোতল, চোলাইমদ ৫৮২.৫ লিটার, বিদেশিমদ ১০ বোতল, বিয়ার ১২ ক্যান,
টাপেন্টাডল ৩১৯০ পিস, পেথিডিন ইঞ্জেকশন ২৩৭ পিস জব্দ করা হয়।
শুধু মাত্র মাদক ও সন্ত্রাসই নই বরঞ্চ সমাজের সব ধরনের অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছেন।
৪০০ টি ভূয়া নিয়োগপত্র সহ প্রতারক চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। জালটাকা প্রস্তুত কারী চক্রের ১ সদস্যকে জাল টাকা ১৭৫০০/= সহ আটক করে।
এছাড়াও ০২ জন ভূয়া র্যার পরিচয় দান কারীকে সহ ০১ ভুয়া ডিবি সদস্যকেও আটক করেন ভুয়া আইডি কার্ড ও ০১ জোড়া হ্যান্ডকাপ সহ আটক করেন।
তার নিরলস প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয় ০২ জন অপহৃত ব্যাক্তিকে।
জুয়া বিরোধী অভিযানেও তিনি কঠোর অবস্থান করেছেন ০২ বারে ২২ জন আটক এছাড়া ০৫ জনকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে জুয়া খেলার অপরাধে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
খাদ্য ভেজাল সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি শক্ত অবস্থান করেছেন এগুলো নিয়ন্ত্রণে
০৩ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪৩ জন দোষী ব্যক্তিকে দোষী সাবস্ত করে সর্বমোট ১,৫২,৪৫,০০০/= টাকা জরিমানা করেন যা কুষ্টিয়া ইতিহাসে বিগত দিনের তুলনায় সর্বচ্চ। বিগত তিন মাস বিভিন্ন ধারায় সর্বমোট ৮২ টি মামলা দায়ের ও গ্রেফতারকৃত আসামি সংখ্যা ১২২ জন।
মেজর গাফ্ফারুজ্জামান
মানুষের দুয়ারে র্যাবের সেবা পৌঁছে দেবার জন্য ব্যাতিক্রম ধর্মী কার্যক্রম চালু করেছেন প্রতি শনিবার সাধারণ মানুষদের জন্য উন্মুক্ত মতো বিনিময় কার্যক্রম চালু করেছেন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
অনেক সময় প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া জেলার যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে
“আবার যুদ্ধ হবে” শিরোনামে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ কার্যক্রমে মাদক বিরোধী অভিযান পেয়েছে এক মাত্রা।
মাত্র ০৩ মাসে র্যাব কুষ্টিয়া বহুমাত্রিক কার্যক্রমে জেলার মানুষের কাছে একটি আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন মেজর গাফ্ফারুজ্জামান।
তিনি সব সময় একটি কথা বলেন ” এক সাথে লড়বো নিরাপদ ও বাসযোগ্য কুষ্টিয়া গড়বো” যে শ্লোগানটা এখন যুবসমাজের মুখে মুখে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের যে আস্হা ও ভালোবাসা কুষ্টিয়াতে তার যথাযোগ্য প্রতিক হয়ে উঠেছেন মেজর গাফ্ফারুজ্জামান।
কুষ্টিয়া বাসী প্রত্যাশা করেন এভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় প্রশাসনের দায়িত্ব কর্মকতারা কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাবেন।
Posted ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
protidinerkushtia.com | editor