হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘এখন থেকে হাসপাতালে শুধু করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি নেওয়া হবে। প্রসূতি ও নবজাতকদের জন্য স্ক্যানু ও গুরুতর রোগীদের জন্য সিসিইউ ওয়ার্ড চালু থাকবে। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে জরুরি সেবা খোলা থাকবে। তবে এ সময় বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের ১৮০ রোগী ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪২ জন করোনা পজিটিভ। বাকি ৩৮ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের দোতলার সব কটি ওয়ার্ডে ২০০ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। নিচের কয়েকটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা দেওয়া এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম পোহাচ্ছেন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা অনুপাতে সর্বোচ্চ হার উঠে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভি শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯১৩।
জেলায় সাত দিনের লকডাউনের আজ পঞ্চম দিন চলছে। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন মানুষকে ঘরে রাখতে কাজ করছে। তবে অভিযোগ রয়েছে ঠুনকো অজুহাতে মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। জেলার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার পরও কেউ সেটা মানতে চাচ্ছে না। আইন না মানায় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৭৬ জন থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।