অনলাইন নিউজ ডেস্ক
গত চার মাস ধরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার জন্য সরাসরি চীনকেই দায়ী করছে ভারতের নয়াদিল্লী। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, কূটনীতির পথেই সমস্যার সমাধান হবে। এরই মধ্যে রাশিয়ায় চলা সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলাদা বৈঠক করতে চেয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। সরকারি সূত্রের মতে, একমাত্র শুক্রবারই (৪ সেপ্টেম্বর) ওই বৈঠক হওয়া সম্ভব।
লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার জন্য চিনকে দায়ী করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, দু’দেশের সরকার ও সেনা কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে ঐকমত্যে এসেছিলেন যে, সীমান্তের বিষয়টি মীমাংসা করা প্রয়োজন। দেশটির এক মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘কিন্তু গত চার মাস ধরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতির জন্য চীনই দায়ী। চীন একতরফাভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলে গত তিন দশকে সীমান্তে যে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় ছিল, তা বিঘ্নিত হয়েছে’।
তিনি আরো বলেন, ভারত বিশ্বাস করে সমস্ত বকেয়া বিষয়গুলি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো সম্ভব।
এদিকে লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতির জন্য চীনকে দায়ী করে মুখ খুলেছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়তও। ‘ভারত-আমেরিকা শীর্ষ বৈঠক’ নামের আলোচনাচক্রে রাওয়ত জানান, ‘সীমান্ত সামলানোর জন্য চিনের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মাঝে মাঝেই চিনের পক্ষে সীমান্তে আগ্রাসন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারত সব ধরনের আগ্রাসন রুখতে সক্ষম’।
দু’দিন আগেই পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে রিপোর্ট দিয়েছিল, ভারতকে চাপে ফেলতে এবার থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলার মতো দেশগুলিতেও সেনাঘাঁটি ও সেনা পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। বেইজিংকে চাপে রাখতে ভারতও যে পিছিয়ে নেই, তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাওয়ত। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে অবাধ যাতায়াত ও বাণিজ্যের লক্ষ্যে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত এই চার দেশ মিলে যে অক্ষ গড়া হয়েছে, সেটি আগামী দিনে ওই অঞ্চলে কার্যকরী ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই মনে করেন তিনি।
ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরকে ফের অশান্ত করতে চাইছে পাকিস্তান। রাওয়ত বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখায় সুরক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পরেও যদি পাকিস্তান কোনো দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ করার দুঃসাহস করে, তা হলে তাদের বড় মাপের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে’।
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
protidinerkushtia.com | Md Golam Kibria (Jibon)