করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে রাজধানীতে প্রতিদিন রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। রোববার (২৫ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে অবশ্যই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে, ঈদের আগে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই রোববার (২৫ এপ্রিল) দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ায় হুড়মুড়িয়ে আসছিলেন ক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি মানা আর না মানার দ্বন্দ্বে ছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ছিল না মুভমেন্ট পাসের কোনো তোয়াক্কাও। যদিও শর্ত মেনে সুরক্ষার ব্যবস্থা না নিলে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল মালিক সমিতির।
বেলা বাড়তেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় রাজধানীর নিউমার্কেটের ভেতর ও বাইরের অংশ। সকাল ১০টায় মার্কেট আর শপিংমল খোলার কথা; কিন্তু তার আগে থেকেই ভিড় লেগে যায় দোকান-মালিক–কর্মচারীদের। দিনের শুরুতেই স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কাহীন। চোখে পড়ে অকেজো জীবাণুনাশক টানেল ও সামাজিক দূরত্ব শূন্যের কোঠায়।
সকালে ধূলাবালি ঝেড়ে পসরা সাজিয়ে বসতে বসতে দুপুর। সময় গড়াতেই চেহারা পাল্টে যেতে থাকে বাজারের। তবে গত বছর জীবাণুনাশক টানেল ছাড়াও কিছু স্বাস্থ্যবিধি মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিলেও এবার তা পুরোপুরি ছিল অনুপস্থিত।
বেলা বাড়তেই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ শর্ত মুখ থুবড়ে পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা আর মানানোয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখোমুখি দোষারোপে।
এছাড়া লকডাউনের সময়টিতে মার্কেট আর শপিংমলে যেতে মুভমেন্ট পাস নেয়ার কথা থাকলেও সবার কাছে তা যেন ছিল অপ্রয়োজনীয় কোনো বিধি।
এর আগে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে না পারলে দোকান বন্ধ রাখতে হবে।
তবে মার্কেট ও শপিংমলের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ার যে শঙ্কা তা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সচেতনতার ওপরই নির্ভর করছে বলে মনে করে মালিক সমিতি।