নিজশ্ব প্রতিনিধী
সরকারী অনুমোদিত টোলের তালিকাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে চিলমারী গুজরাট খেয়া ঘাটে অধিক ভাড়া আদায় ।
কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চিলমারী গুজরাট ১ ও২ নং খেয়া ঘাটে সরকারি অনুমোদিত টোলের তালিকা কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। এমন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত১/০৭/২০২১ তারিখে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের মাধ্যমে ঘাট ইজারা নেন ভাগজোত বাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃফজলুল হকের পুত্র মোঃইউসুফ আবু জাফর পাপ্পু আর ঘাটটি ইজারা নেবার পর থেকে জেলা পরিষদের খেয়াঘাটের জন্য অনুমোদিত টোল রেট চার্জ না মেনে নিজেদের ইচ্ছে মত আদায় করে নিচ্ছে চার গুনের ও বেশি ভাড়া যা রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বাসীর জন্য কষ্টকর।
ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ জানান সাধারণ মানুষের জন্য মাথাপিছু ৩ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হলেও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা ভাড়া । এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এই ভাড়া হয়েছে কষ্টসাধ্য। পাওয়ার টিলারের ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ কিন্তু নেওয়া হয় ৫০০ টাকা, ট্রাক্টরের নির্ধারিত ভাড়া ৩৫ টাকা হলেও নেওয়া হয় ২৫০০শত টাকা পর্যন্ত, গরু ও মহিষ ৬ টাকা উল্লেখ থাকলেও নেওয়া হয় ৫০ টাকা পর্যন্ত। সাইকেল এর ভাড়া ৩ টাকা নির্ধারণ হলেও নেওয়া হয়
১০ টাকা, মোটরসাইকেলের ভাড়া ১০ টাকা নির্ধারণ কিন্তু নেওয়া হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি পিচ বাঁশ পারাপার ২ টাকা নির্ধারন নেওয়া হয় ২০ টাকা। প্রতি হাজার ইট ১০ টাকা নির্ধারন করা থাকলেও নেওয়া হয় ৩০০ টাকা হাজার,প্রতি বস্তা সিমেন্ট ২ টাকা নির্ধারণ হলেও নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা বস্তা। শুধু তাই নয়, উল্লেখ্য বিষয়ের উপরে সাধারণ মানুষের গুনতে হচ্ছে ৪ গুন বেশি ভাড়া। ভুক্তভোগীরা সহ এলাকাবাসী গণমাধ্যমকে জানায়।
এ ব্যপারে ঘাট কতৃপক্ষ সাপুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, কাঁদামাটির কারণে ও আরও বিভিন্ন খাতের অজুহাতে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ইউনিয়নের গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছে। আমি এ বিষয়ে মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে জেলা পরিষদ কতৃপক্ষের নিকট অবগত করেছি,এ বিষয় জেলা পরিষদের কতৃপক্ষ কোনো প্রকার সহোযোগিতা করে নাই। তাই আমি পুনরায় গণমাধ্যমের সহযোগিতায় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অতিরিক্ত ভাড়া না নিয়ে যেন আমার গ্রামবাসীর কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয় বলে এ আশা ব্যাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবীদ হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি গণমাধ্যমকে জানাই খেয়া ঘাটের টোল বেশী আদায়ের ব্যাপারে থানায় এখনও কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে যথাযথভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
Posted ২:১৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
protidinerkushtia.com | editor