মোসলেম উদ্দিন, হিলি দিনাজপুর ঃ-বহুদিনের স্বপ্নে দেখা দিনাজপুরের হিলি রেলষ্টেশন, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ী, মাদ্রাসা ও প্রেসক্লাবের খানাখন্দে ভরা সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে শুরু করেছেন পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত।
হিলির একমাত্র রেল যোগাযোগ রেলষ্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ী, উত্তর বঙ্গের বড় আজিজিয়া মাদ্রাসা ও হাকিমপুর প্রেসক্লাবের সড়কটি ছিলো অবহেলিত। দীর্ঘদিন খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রাতদিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত ট্রেনযাত্রী, মাদ্রাসার ছাত্র, পুলিশ ও বিজিবি সদস্য এবং প্রেসক্লাবে সকল সাংবাদিকগন যাতাযাত করতো। একটু বৃষ্টি হলে সড়কটি দিয়ে চলাফেরা বড় কষ্টকর হয়ে দাঁড়াতো।
হাকিমপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলু বলেন, ১৯৯৮ সালে হিলিকে পৌরসভা ঘোষনা পর এই রাস্তাটি প্রথম নির্মাণ হয়। বিগত ২২ বছর যাবৎ বিভিন্ন ভাবে ভেঙেচুড়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে উঠে। কয়েক জন মেয়র আসার পর, তাদের একাধিক অভিযোগ করলেও সড়কটির কোন নির্মাণ কাজ করেননি। এইবার বাজেট ঘোষনার দিন আমি বর্তমান মেয়র জামিল হোসেন চলন্তকে অবহেলিত খানাখন্দে ভরা সড়কটির কথা তুলে ধরলে তিনি আশ্বাস দেন আগামী তিন মাসের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করবো। কিন্তু এক মাস না হতেই মেয়র সাহেব দ্রæত রাস্তাটির নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মেয়র চলন্তকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানায়।
এলাকাবাসি আতাউর রহমান কাজল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই অচল রাস্তা দিয়ে খুবই কষ্ট করে চলাফেরা করেছি। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যাতাযাত অসুবিধা হয়। রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, এইবার আমাদের আর কোন অসুবিধা হবে না।
হিলি আজিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের এই মাদ্রাসায় প্রায় ১২০০ জন ছাত্র রয়েছে, বর্ষাকালে ছাত্রসহ সকল শিক্ষকদের চলাফেরায় সমস্যায় পড়তে হয়। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে এবং কাদা হয়। রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, দেখে খুব ভাল লাগছে।
হিলি রেল ষ্টেশন মাস্টার শ্রী তপন কুমার চক্রবতী জানান, হিলি স্থলবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর। হিলি বন্দরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই রেল ষ্টেশন থেকে যাতাযাত করে আসছে। কিন্তু বাজার থেকে ষ্টেশন পর্যন্ত আসার সড়কটির অবস্থা ছিলো বেহালদশা। যাত্রীদের আসা-যাওয়া এই সড়কটিই এক মাত্র অবলম্বন। যাত্রীসহ রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাওয়া-আসাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
হিলি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ী কর্মকর্তা এসআই শাহ-আলম বলেন, পুলিশ ফাঁড়ীর এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো অবস্থায় ছিলো। রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, আমাদের চলাফেরার খুব সুবিধা হবে।
হাকিমপুর (হিলি) পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজের মধ্যে এইটি একটি। আমি পৌর এলাকার কয়েকটি রাস্তার নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি, তার মধ্যে হিলি রেলষ্টেশন, পুলিশ ফাঁড়ি, আজিজিয়া মাদ্রারা ও প্রেসক্লাবের এই রাস্তাটির কাজ দ্রæতগতিতে করার চেষ্টা করছি।
Posted ৫:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
protidinerkushtia.com | editor