মোসলেম উদ্দিন, হিলি দিনাজপুর।
তিনদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ টাকা ও পেঁয়াজের দাম বাড়ল ১০ টাকা। প্রকার ভেদে ১৪০ টাকার মরিচ আজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। ভারতে দাম বেশি এবং দেশে চাহিদার তুলোনায় আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম। এমনটিই বলছেন মরিচ ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৩১ আগস্ট) হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন আগে কাঁচা মরিচের পাইকারী বাজার ছিলো ১৪০ টাকা। তা খুচরা বাজারে বিক্রি ছিলো ১৬০ টাকা কেজি দরে। বর্তমান তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৮০ টাকা পাইকারী এবং খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আর পেঁয়াজের পাইকারী বাজার ছিলো ২০ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিলো ২২ টাকা কেজি দরে। আজ তা পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রেতারা বিক্রি করছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া বলেন, লাগামহীন ঘোড়ার মতো বেড়েয় চলছে কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজের দাম। তিন দিন আগে ১৪০ টাকা দরে পাইকারী কিনে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ ১৮০ টাকা পাইকারী কিনে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। পেঁয়াজ আজ ২৮ টাকা দরে পাইকারী কিনে তা ৩০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করছি। হঠাৎ দাম বাড়ায় ক্রেতাদের সাথে তর্কবিতর্ক হচ্ছে।
কুদ্দুস আলি নামের একজন মরিচ আর পেঁয়াজ ক্রেতার সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, দিন দিন কাঁচামরিচের আর পেঁয়াজের দাম বেড়েয় চলছে। বর্তমান প্রতিটি সব্জির দাম অনেক বেশি। তারপর আবার প্রতিদিন মরিচের দাম বাড়ছে। এতো দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কিভাবে চলবো।
হিলি বাজারের পইকারী কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফারুখ হোসেন বলেন, আমরা ১৬৫ টাকা দরে আমাদানি কারকদের নিকট কাঁচামরিচ কিনে ১৮০ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি করছি। আর পেঁয়াজ ২৭ টাকা দরে পাইকারী কিনে তা ২৮ টাকা দরে পাইকারী দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ভারতে কাঁচামরিচের দাম বেশি এবং দেশে আমদানি কম হচ্ছে। এই কারনে দেশি বাজারে কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।হিলি বন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে আমদানি কম হওয়ায় কাঁচামরিচ আর পেঁয়াজের দামটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে আজ ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি হবে এবং আমদানি হলে মরিচ আর পেঁয়াজের দাম কমতে পারে।
Posted ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor