মুজিবনগর নাগার বিল পরিদর্শন করলেন অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দুদুল (এমপি) মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলাধীন গৌরিনগর মৌজায় নাগাবিলের খালে জলাবদ্ধতার কারনে সাধারন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। খালটি পুর্নঃখননের অভাবে ভরাট ও সরকারি খাসজমি বেদখল হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বিল সহ আসপাশের ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দুদুল (এমপি) জন প্রসাশন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক জনাব মনসুর আলম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প মোঃ নুরুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান, স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ স্হানীয় ভুক্তভোগী কৃষকগন।
স্হানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে খালটি পুর্নঃখনন করলে উক্ত জলাবদ্ধতা নিরসনের ফলে জলাবদ্ধ অনাবাদি জমি আবাদে আসবে সেই সাথে এক ফসলি জমি দুই ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হবে এবং দুই ফসলি জমিতে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হবে সেই সাথে কৃষকদের দারিদ্র্যতা ও দুঃখ-কষ্ট দুর হবে। এতে প্রায় ৫০০০ একরজমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। এছাড়াও খালটি পুর্নঃখননের ফলে শুষ্ক মৌসুমে সেচ যন্ত্র দ্বারা কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। খালটি নাগাবিল হতে খাস মৌজা ভুক্ত তবে আর এস মৌজা ম্যাপ অনুযায়ী ১৫০১ দাগটি ব্যাক্তি মালিকানা মর্মে রেকর্ডভুক্ত বলে জানা গেছে। উক্ত খাল দ্বারা পানি নিস্কাশন না হওয়ার ফলে নাগাবিলের মাঠের প্রায় ২৫০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ফলে জমিগুলো অনাবাদি থাকে। খালের দৈর্ঘ্য ৩.৮০ কি.মি। খালটি পূর্নঃখনন করা হলে বোরো মৌসুমে ধান, রবি শস্য সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করা সম্ভব হবে। স্হানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে খালটি বিএডিসি’র নিয়োজিত সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে নাগাবিলের খালটি পুর্নঃখনন করতে গেলে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যা নিম্নরুপ : আর এস মৌজা ম্যাপ অনুযায়ী ১৫০১ দাগের অংশটি ব্যাক্তি মালিকানা হওয়ায় খালটি শুরু ও শেষ প্রান্তে ধারাবাহিকতা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। মেহেরপুর মুজিবনগর প্রধান সড়কের পুর্ব পাশে প্রায় ১০০ মিটার জায়গায় খালের উপর ইট ভাটার কারনে খালটি সম্পুর্ন ভরাট অবস্হায় আছে। এছাড়াও ভৈরব খালের দিকে মোঃ ইছাক এর বাড়ীর গেট ও গোয়াল ঘরের কিছু অংশ উজির আলীর ফার্নিচারের দোকান, আলী হোসেনের মুদি দোকান, ফয়েজ উদ্দিনের বাড়ীর ফটক খালের উপর অবস্থিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম জানান মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি অবগত আছেন সেই সাথে সরজমিনে খালটি পরিদর্শন করেছেন এবং খালটি পুরঃখননের জন্য তাগাদা দিয়েছেন ইনশাআল্লাহ আশা করছি আমরা খুব তারাতাড়ি নাগাবিলের খাল পুর্নঃখননের কাজ শুরু করবো সেই সাথে ভুক্তভোগী কৃষকদের দীর্ঘ বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। তিনি আরো বলেন উক্ত খান পুর্নঃখননের জন্য মাননীয় জনপ্রশাসনের প্রতিমন্ত্রীর তাগাদা রয়েছে সেই সাথে ইতিমধ্যে প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে এবং অচিরেই খাল পুর্নঃখননের কাজ শুরু হবে।
স্হানীয় গরীব চাষীরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা দীর্ঘ বছর যাবত আমাদের মাঠে জলাবদ্ধতার কারনে অনেক আবাদ যোগ্য জমি অনাবাদি রয়েছে এক ফসলের বেশি ২/৩ টি ফসল করতে পারিনি তাই আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন জানাচ্ছি জরুরী ভিত্তিতে খালটি খনন করিয়ে দেন জাতে করে আমরা খেটে খাওয়া কৃষক দু’বেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে যেনো আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে একটু শান্তিতে থাকতে পারি সেই ব্যাবস্হা করবেন।