মোসলেম উদ্দিন, হিলি দিনাজপুর।
দিনাজপুরের হিলিতে এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনা করলো হাকিমপুর ফাউন্ডেশন।
আমাদের সমাজে অনেক বাবা-মা হারা শিশুরা আছে, যারা দু’বেলা ঠিক মতো খেতে পায়না। রাস্তায় রাস্তায় তারা ঠকোর খেয়ে বেরায়। এদের মধ্যে অনেকের বাবা-মা নেই, কারও বাবা মারা গেছে, মা আবার অন্য কাউকে বিয়ে করেছে। আজ এই সব অসহয় শিশুরা মানুষের দ্বারে বা বিভিন্ন স্থানে টোকায়গিরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। মানুষের লাথি-ঘুতা আর অবহেলায় তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
আর এসব এতিম অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়িছে হাকিমপুর ফাউন্ডেশন। ঈদে সবার সন্তানরায় পাচ্ছে নানা রঙের পোশাক আর উন্নতমানের খাবার। তাই এতিম শিশুদের একটু আদর,স্নেহ আর ভালবাসা লক্ষে হিলি শহরে ঘুরে ঘুরে অসহায় বাচ্চাদের বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করেন ফাউন্ডেশনের একঝাক তরুণ। তারা সাদা ভাত,বিরানি, গরু,খাসি ও মুরগির মাংস এবং ছালা,লেবুসহ দই-মিষ্টি।
কথা হয় এতিম বাদশা মিয়ার সাথে, সে খাওয়ার ব্যস্ততার মাঝেও বলে উঠলো কতদিন পর অনেক ভাল ভাল খাবার খেলাম। বাবা-মা নাই, অনেক দিনপর তাদের মতো করে খাওয়ালো। এমন অনেক বাচ্চাদের সাথে কথা হয়। সবার চোখে মুখে একই ছাপ।
হাকিমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোহাগ সরকার বলেন, আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছি। আমাদের সমাজে এমন অনেক অসহায় শিশু রয়েছে যারা ঈদের দিন ঠিকভাবে খেতে পায় না। সেইসব শিশুদের জন্য আজকে আমরা খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রত্যেকেই নিজ হাত দিয়ে খাবার তুলে নিয়েছে।
আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাদের ইচ্ছামত খাবার খাওয়ানোর। প্রতিটি শিশুর চোখেমুখে হাসি ফুটে উঠেছিল। তাদের হাসিমাখা মুখ দেখে আমাদের ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যদের সারাদিনের আশা এবং পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমরা দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ১০০ জন অসহায় শিশুদের খাবার খাওয়ায়ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন, হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদ তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ।
মেয়র চলন্ত বলেন, হাকিমপুর ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যদের আমি ধন্যবাদ জানায় এমন একটি নজিরবিহীন আয়োজনের জন্য। ঈদের আনন্দ শুধু তারা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বিলিয়ে দিয়েছে অসহায় এতিম পথচারী শিশুদের মাঝে।
Posted ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ আগস্ট ২০২০
protidinerkushtia.com | editor