বুধবার | ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সত্যের পথে অবিচল | ২৪ ঘণ্টা বাংলা সংবাদ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে করোনার ভূয়া সনদ পত্র দেয়ায় টেকনিশিয়ান রিমু আটক : মূলহোতা সানাউল্লাহ পলাতক

সুমন মাহমুদ, মিরপুর প্রতিনিধি।

কুষ্টিয়ার মিরপুরে করোনার ভূয়া সনদ পত্র দেয়ায় টেকনিশিয়ান রিমু আটক : মূলহোতা সানাউল্লাহ পলাতক

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান মাহফুজুর রহমান রিমু (৩৫) কে করোনার ভূয়া সনদ পত্র দেয়ার অভিযোগে মিরপুর থানা পুলিশ আটক করেছে। বুধবার বিকেল রিমুর কর্মস্থল থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে আটক করে।


সূত্র জানিয়েছে, মাহফুজুর রহমান রিমু একটি চক্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে করোনার ভূয়া সনদ পত্র দিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ডিবি ও মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এঘটনায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির ৪২০/৪০৬/৪৬৬/৪৭১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৫, তারিখ ২৬/০৮/২০২০ইং। এব্যাপারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী মাহফুজুর রহমান রিমু পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জেসমিন আরা পারভিন বলেন, করোনার ভূয়া সনদ পত্র দিয়ে মাহফুজুর রহমান রিমু জালিয়াতি করছিল এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম তদন্তে আসলে অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়। স্থানীয় একটি সুত্র জানাই করোনার ভূয়া সনদপত্র দেয়ার মূলহোতা স্বাস্থ্য পরিদর্শক কুষ্টিয়ারবাসীন্দা সানাউল্লাহ ।

করোনা টেস্ট না করেই অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ বিক্রির অভিযোগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।


বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অভিযান চালায় কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল।

অভিযান শেষে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ বিক্রি ও জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলোজিস্ট (ইপিআই) মাহফুজুর রহমানকে আটক করা হয়।


আটক মাহফুজুর রহমান মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরির জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ দিতে হচ্ছে। এজন্য অবৈধ পন্থায় ৭০০-১৫০০ টাকায় কয়েকদিন ধরেই মিরপুর হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা নেগেটিভ সনদ দিয়ে আসছিলো মাহফুজুর রহমান।

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা না নিয়েই নেগেটিভ সনদ দিচ্ছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালানো হয়। এসময় মাহফুজুর রহমান নামের একজনকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মাহফুজুর রহমানকে আটক করি। এসময় তার কাছ থেকে একটি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, একটি পেনড্রাইভ এবং একটি স্ট্যাম সিল ও ১৩টি নেগেটিভ করোনার ভুয়া সনদের ফটোকপি জব্দ করা হয়।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন অসাধু চিকিৎসক এবং কর্মচারীর সমন্বয়ে একটি চক্র এধরনের কর্মকাণ্ড দেশে করোনা শনাক্তের শুরু থেকেই করে আসছেন।

Facebook Comments Box

Posted ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০

protidinerkushtia.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

কুষ্টিয়া চোরহাস মোড়, কুষ্টিয়া
ফোনঃ +৮৮ ০১৭৬৩-৮৪৩৫৮৮
ই-মেইল: protidinarkushtia@gmail.com

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
error: Content is protected !!